আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপুরা। আজকে একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের দেশে এখনো অনেক ভুল ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন যে মানসিক সমস্যা মানেই পাগলামি, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। স্ট্রেস, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এগুলো যে কারো হতে পারে এবং সঠিক সময়ে সাহায্য নিলে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
আমি নিজে সিলেটের একজন ছাত্র হিসেবে বলছি, HSC ও SSC পরীক্ষার সময় যে চাপ থাকে সেটা অনেক কঠিন। গত বছর আমার এক বন্ধু পরীক্ষার আগে এতটাই স্ট্রেসে ছিল যে ঠিকমতো ঘুমাতে পারতো না, খেতে পারতো না। পরিবারের কাছে বলতেও লজ্জা পেত। পরে যখন স্কুলের একজন শিক্ষক বিষয়টা বুঝতে পারলেন এবং তাকে কাউন্সেলরের কাছে নিয়ে গেলেন, তখন ধীরে ধীরে সে ভালো হলো। আলহামদুলিল্লাহ এখন সে অনেক সুস্থ।
আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলাটাকে দুর্বলতা মনে করা হয়। বিশেষ করে ছেলেদের বলা হয় কাঁদতে নেই, মন খারাপ করতে নেই। এই ধারণা পুরোপুরি ক্ষতিকর। মানুষ হিসেবে আমাদের সবার আবেগ আছে এবং সেগুলো প্রকাশ করা স্বাভাবিক। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সব জায়গাতেই এখন ভালো মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ পাওয়া যায়। অনলাইনেও অনেক সেবা আছে যেখান থেকে সাহায্য নেওয়া যায়।
পরিবারের ভূমিকা এখানে অনেক বড়। বাবা মা যদি সন্তানের সাথে খোলামেলা কথা বলেন, তাহলে অনেক সমস্যা আগেই ধরা পড়ে। আমার আম্মু সবসময় বলেন যে কোনো কিছু মনে চাপা রাখতে নেই। এই ছোট্ট কথাটা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। বন্ধুদের সাথেও মন খুলে কথা বলা উচিত। একা একা কষ্ট বহন করার চেয়ে শেয়ার করলে মনটা হালকা হয়।
শেষে বলতে চাই, মানসিক স্বাস্থ্য শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি কষ্টে থাকেন, সাহায্য চাইতে লজ্জা নেই ভাই। ইনশাআল্লাহ সবাই ভালো থাকবেন। নিজের খেয়াল রাখবেন। 💙
Top comments (3)
আমিও একসময় ডিপ্রেশনে ছিলাম, কাউকে বলতে পারতাম না লজ্জায়। আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেক ভালো আছি, সাহায্য নিতে দেরি করা উচিত না।
মাশাআল্লাহ ভাই, খুব দরকারি বিষয় নিয়ে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়লে সবাই উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপূর্ণ কথা শেয়ার করার জন্য।
যাই হোক, মামা আজকে মিরপুরে এমন ট্রাফিক ছিল যে মাথাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল ইনশাআল্লাহ কালকে একটু স্বাভাবিক হবে।