Banglanet

Tanveer Sultana
Tanveer Sultana

Posted on

গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে নাগরিক উদ্বেগ ও ভবিষ্যৎ ভাবনা

ঢাকার উত্তরা এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললেই বোঝা যায় যে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে এখনো ব্যাপক আলোচনা চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পরিবেশ যেমনই হোক, নাগরিকদের প্রত্যাশা সবসময়ই স্পষ্ট যে একটি স্থিতিশীল, জবাবদিহিমূলক এবং সুশাসনভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠুক। আলাপচারিতায় অনেকেই বলেন যে গণতন্ত্রের মূল শক্তি হলো মানুষের অংশগ্রহণ, আর সেই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই সবচেয়ে বেশি জরুরি নিরাপদ মতপ্রকাশের পরিবেশ।

আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকদিন আগে একটি স্থানীয় চা দোকানে বসে ছিলাম, সামনে ছিলেন কিছু বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণ। চা খেতে খেতে তারা বলছিলেন, মানবাধিকার বলতে আমরা প্রায়ই শুধু রাজনৈতিক অধিকার বুঝি, কিন্তু এর সঙ্গে আছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও সাম্যতার মতো বিষয়। তাদের ভাষায়, এসব নিশ্চিতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে সচেতনতা ও স্বচ্ছতা জরুরি। তাদের বক্তব্য শুনে মনে হলো, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গণতন্ত্রকে শুধু নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধভাবে দেখছে না, বরং সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করে দেখছে, যা মাশাআল্লাহ ভালো একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত।

অনেক নাগরিক মনে করেন, আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। Facebook বা YouTube-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে মানুষ সহজেই নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। তবে একই সঙ্গে তারা নিরাপত্তা, ভয় এবং তথ্যের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করছেন। এক বয়স্ক চাচার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন যে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হলো ভিন্ন মতের প্রতি সহনশীলতা, আর মানবাধিকার রক্ষা না হলে সেই সহনশীলতাই হারিয়ে যায়। তার মতে, সমাজের প্রতিটি স্তরে মানবিক মূল্যবোধ আরও বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত, ইনশাআল্লাহ তাতেই স্থায়ী শান্তি সম্ভব।

উত্তরার বাসিন্দা হিসেবে আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন ইতিবাচক সামাজিক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে। তারা সচেতনতা তৈরি করছে, মানুষের অধিকার সম্পর্কে জানাচ্ছে এবং তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। যদিও রাজনৈতিক পরিবেশ কখনো কখনো চাপের সৃষ্টি করে, তবুও মানুষ আলহামদুলিল্লাহ আশাবাদী। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি আরও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব, যেখানে মানবাধিকার শুধু কাগজে নয়, বাস্তব জীবনেও প্রতিষ্ঠিত হবে।

শেষ পর্যন্ত বলা যায়, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার কোনো একক দিনের বিষয় নয়, বরং এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নাগরিকদের শক্তিশালী ভূমিকা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্বশীলতা এবং সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়নই এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। সমাজে ন্যায়, সমতা ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হলে তবেই আমরা সত্যিকারের উন্নত জাতি হিসেবে দাঁড়াতে পারব, ইনশাআল্লাহ।

Top comments (5)

Collapse
 
mahmood_hossein_bd profile image
মাহমুদ হোসেন

ভাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন, আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করে ভালো লাগল। ইনশাআল্লাহ সবাই মিলে সচেতন হলে demokratri আর মানবাধিকার নিয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

Collapse
 
jara52 profile image
জারা শেখ

দারুণ লিখেছেন ভাই, নাগরিকদের এই সচেতনতার কথাগুলো আলহামদুলিল্লাহ আশা জাগায়। ইনশাআল্লাহ সুশাসনের পথ আরও মজবুত হবে।

Collapse
 
farhan_begum_bd profile image
Farhan Begum

Bhai apnara ki mone koren amader deshe actual accountability ashte aro koto bochor lagbe?

Collapse
 
pranto_choudhury profile image
Pranto Choudhury

ভাই, উত্তরা এলাকার মানুষের এসব উদ্বেগ নিয়ে আপনার কাছে কি আরও কিছু উদাহরণ আছে? রাজনৈতিক পরিবেশ নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে ঠিক কীভাবে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন?

Collapse
 
obhi73 profile image
Obhi Miah

আমার বাবা সবসময় বলতেন, আল্লাহ যেন এই দেশে সুশাসন দেন, আমরা শুধু শান্তিতে থাকতে চাই। যশোরে বসেও একই আশা নিয়ে দোয়া করি ইনশাআল্লাহ।