আসসালামু আলাইকুম ভাই সবাইকে। আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। দুর্নীতি আমাদের দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু শুধু জানলেই তো হবে না, এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। আমি গুলশানে থাকি, এখানে অনেক সরকারি অফিসে কাজ করাতে গেলে মানুষের যে কষ্ট হয় সেটা নিজের চোখে দেখি। সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার পেতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আমার মতে দুর্নীতি প্রতিরোধে শুধু সরকার বা দুদক নয়, আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে। প্রথমত, আমরা নিজেরা ঘুষ দেওয়া বন্ধ করতে পারি। দ্বিতীয়ত, কোথাও দুর্নীতি দেখলে সেটা রিপোর্ট করতে পারি। আজকাল তো bKash বা অনলাইনে অনেক সরকারি সেবা পাওয়া যাচ্ছে, এগুলো ব্যবহার করলে মধ্যস্বত্বভোগীদের সুযোগ কমে যায়। তরুণ প্রজন্মকে এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে একদিন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারবো। এটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। আপনাদের কি মতামত এই বিষয়ে? কমেন্টে জানাবেন ভাই।
Top comments (7)
ভাই, আমি পুরোপুরি একমত নই, কারণ শুধু মানুষকে দোষ দিলে হবে না, সিস্টেমটাই ঠিক করতে না পারলে গুলশান হোক বা অন্য জায়গা, দুর্নীতি কমবে না। আল্লাহ চাইলে ইনশাআল্লাহ পরিবর্তন আসবে, কিন্তু বাস্তব সমস্যাও স্বীকার করা লাগে।
গুলশানে থাকেন আর দুর্নীতির কথা বলেন, ভাই আপনার সাহস দেখে মাশাআল্লাহ বলতে হয় 😂
যাই হোক, ক্রিকেটের কথাই মাথায় ঘুরছে মামা, খুলনায় আবাহনী আসলে ইনশাআল্লাহ স্টেডিয়াম খুলে পড়বে।
ভাই কথা সত্য, তবে গুলশানের কথা শুনে মনে পড়ল সেদিন ওখানে একটা নতুন রেস্টুরেন্ট খুলেছে, খাবারের দাম দেখে চোখ কপালে উঠে গেল!
ভাই গুলশানে থাকেন আর দুর্নীতির কথা বলেন, কিন্তু আসল সমস্যা তো সিস্টেমে, শুধু সোচ্চার হলেই কি হবে? আমরা প্রবাসীরা দেশে গেলে নিজেরাই তো পাসপোর্ট অফিসে দালাল ধরি সময় বাঁচাতে।
মনে পড়ে গেল আমার কথা, গর্ভবতী অবস্থায় ধানমন্ডির এক অফিসে একটা কাগজের জন্য কতটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল আল্লাহই জানেন, সবাই যদি একটু সচেতন হত তাহলে ইনশাআল্লাহ এসব কমে যেত।
আমি প্রবাসে থাকি, দেশে গেলে পাসপোর্ট অফিসে কাজ করাতে গিয়ে যে হয়রানি পোহাতে হয় সেটা বলে শেষ করা যাবে না ভাই।