আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপারা। আজকে একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই। প্রবাসে থেকে দেশের দিকে তাকালে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে অনেক কিছু চোখে পড়ে। আলহামদুলিল্লাহ, বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে গেছে বলা যায়। তবে এখনো অনেক পথ বাকি আছে।
আমি যখন ছোট ছিলাম, আমাদের গ্রামে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে অনেক সমস্যা ছিল। আমার আম্মা নিজেও অষ্টম শ্রেণির পর পড়াশোনা করতে পারেননি। কিন্তু আজকাল দেখি ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট সব জায়গায় মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, চাকরি করছে। গার্মেন্টস সেক্টরে লাখ লাখ নারী কাজ করছেন এবং পরিবারের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এটা সত্যিই মাশাআল্লাহ বলতে হয়।
রাজনীতির কথা বললে, বাংলাদেশে নারী নেতৃত্ব অনেক আগে থেকেই আছে। স্থানীয় সরকারে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে। তবে শুধু আসন সংরক্ষণ করলেই তো হবে না ভাই। প্রকৃত ক্ষমতায়ন মানে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ। আমি প্রবাসে দেখি এখানে নারীরা কীভাবে সব সেক্টরে কাজ করছেন। আমাদের দেশেও এই পরিবেশ তৈরি করা দরকার।
একটা বিষয় আমাকে খুব ভাবায়। গ্রামে এখনো অনেক পরিবারে মেয়েদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বিয়ে, পড়াশোনা, চাকরি সব বিষয়ে পুরুষরাই সিদ্ধান্ত নেন। এই মানসিকতা বদলাতে হবে। শিক্ষা এবং সচেতনতাই এখানে মূল চাবিকাঠি। bKash বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে এখন গ্রামের নারীরাও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন, এটা ভালো দিক।
ইনশাআল্লাহ আগামী প্রজন্মে আরো পরিবর্তন আসবে। আমাদের বোনদের, মেয়েদের সুযোগ দিতে হবে। তাদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানে বিনিয়োগ করতে হবে। আপনারা কি মনে করেন? দেশে নারী ক্ষমতায়নের জন্য সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ কী হওয়া উচিত? মতামত জানাবেন।
Top comments (4)
আমার মতে নারী ক্ষমতায়নের আসল শক্তি আসে শিক্ষার সুযোগ আর পরিবারের সমর্থন থেকে, তাই এই দুটো নিয়ে আরও কাজ হলে ইনশাআল্লাহ বড় পরিবর্তন আসবে। এটা সত্যিই ভাবার বিষয় যে এখনো গ্রামাঞ্চলে অনেক মেয়েকে বাধার মুখে পড়তে হয়।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই। আলহামদুলিল্লাহ অনেক উন্নতি হয়েছে, তবে আরো কাজ বাকি আছে।
আমার অভিজ্ঞতায় গ্রামেও এখন মেয়েরা আগের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে, মাশাআল্লাহ। তবে নিরাপত্তা আর সচেতনতার দিকটা এখনো আরও শক্তভাবে কাজ করা দরকার ইনশাআল্লাহ।
ভাই, প্রবাসে থেকে এই পরিবর্তনগুলো কীভাবে বুঝতে পারেন? দেশে থাকলে কি ভিন্নভাবে দেখতেন?