বাংলাদেশের শেয়ার বাজার নিয়ে সম্প্রতি অনেক আলোচনা হচ্ছে, বিশেষ করে নতুন বিনিয়োগকারী ও আইটি খাতের ভাইরা এখন আবার বাজারের দিকে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ১১ জুন ২০২৫-এর এই সময়ে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে বাজারে স্বল্পমেয়াদি ওঠানামা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘমেয়াদে কিছু স্থিতিশীল প্রবণতা ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে। আমি খুলনার একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে বহুদিন ধরে বাজার পর্যবেক্ষণ করছি, আর ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রযুক্তি, ব্যাংকিং এবং ভোক্তা পণ্যের কিছু নির্বাচিত কোম্পানি এখনো তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল জায়গায় আছে, যদিও সার্বিকভাবে সতর্ক থাকা জরুরি।
আজকাল অনেকেই ভাবছেন বাজারে হঠাৎ ওঠানামার কারণ কী। সাধারণত আমাদের বাজারে তারল্য কমে গেলে, গুজব ভিত্তিক ট্রেডিং বাড়লে বা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি হলে বিনিয়োগকারীরা সহজেই অস্থির হয়ে পড়েন। এর সঙ্গে যুক্ত হয় কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা পলিসি পরিবর্তনের আশঙ্কা। এসব মিলিয়ে বাজারে এক ধরনের সতর্ক মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদে ভালো কোম্পানির শেয়ার ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক দিক।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেক নতুন বিনিয়োগকারী শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার পরামর্শ দেখে ট্রেড করে বসেন। বিশেষ করে Facebook গ্রুপ বা YouTube ভিডিও দেখে অনেকেই মনে করেন দ্রুত লাভ করা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে বাজার বিশ্লেষণ, কোম্পানির হিসাব বুঝা, আর্থিক স্বাস্থ্য যাচাই এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবণতা দেখা ছাড়া সফল হওয়া কঠিন। আমি নিজে কিছু বছর আগে এমন ভুল করেছি, পরে বুঝেছি যে ধৈর্য ও সঠিক তথ্যই মূল চাবিকাঠি। আলহামদুলিল্লাহ এখন আর তাড়াহুড়া করে সিদ্ধান্ত নেই না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমার পরামর্শ হবে, বাজারের স্বল্পমেয়াদি ওঠানামায় বিভ্রান্ত না হয়ে ধীরে ধীরে পোর্টফোলিও তৈরি করা। সেনসিটিভ সেক্টরে বড় বিনিয়োগের আগে অবশ্যই কোম্পানির মৌলিক অবস্থা যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংবাদ, নীতি পরিবর্তন বা নতুন বাজেট ঘোষণার মতো বিষয়েও নজর রাখা জরুরি। ইনশাআল্লাহ এই ধরনের সতর্ক ও বিবেচনাপূর্ণ পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্যাপক ঝুঁকি কমে যাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল লাভ অর্জন সম্ভব হবে।
সবশেষে বলতে চাই, শেয়ার বাজার কোনও দ্রুত ধনী হওয়ার জায়গা নয়। এটি এক ধরনের আর্থিক শৃঙ্খলা যেখানে জ্ঞান, সতর্কতা এবং ধৈর্য মিলেই সাফল্য তৈরি করে। যারা নতুন, তাদের জন্য বলব প্রথমে শেখা, তারপর বিনিয়োগ করা। এতে ঝুঁকি কমবে এবং ভবিষ্যৎ আরও নিরাপদ হবে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
আমার মতে স্বল্পমেয়াদি ওঠানামা দেখে ভয় না পেয়ে মৌলভিত্তি শক্ত কোম্পানিগুলোর দিকে নজর দিলেই ইনশাআল্লাহ দীর্ঘমেয়াদে ভালো ফল মিলবে। বাজারের এই ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হওয়া বিষয়টা বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত।
bhai ekta question, namaz er moddhe mone mone surah porte gele concentration bhenge jay, eta thik korar kono tips achen?
Bhai apni basic tips diyechen thik ache, kintu namaz shudhu niyom mene pora na - khushu o niyyat er upor jor dile bhalo hoto beshi.
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, বাজার এখন ধীরে ধীরে স্থিতিশীল পথে যাচ্ছে মনে হয় ইনশাআল্লাহ। আপনার বিশ্লেষণটা অনেক কাজে লাগবে।
আমার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, ২০১০-১১ সালের ধসের পর থেকে লং টার্ম ধরে রাখা শেয়ারগুলোই আসলে লাভ দিয়েছে, তাড়াহুড়ো করে কিনে বিক্রি করতে গিয়ে অনেক লস খেয়েছি।