Banglanet

Sabrina Ahmed
Sabrina Ahmed

Posted on

গর্ভাবস্থার সঠিক যত্নে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত

ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: গর্ভাবস্থা একটি স্বাভাবিক তবে অত্যন্ত সংবেদনশীল সময়, যেখানে মায়ের নিয়মিত যত্ন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে মাতৃস্বাস্থ্যসেবা আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে, ফলে অনেক পরিবারই এখন সচেতনভাবে গর্ভকালীন যত্নকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আলহামদুলিল্লাহ, সময়মতো সঠিক যত্ন নিলে বেশিরভাগ জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

রংপুর ও আশপাশের এলাকায় কর্মরত কয়েকজন চিকিৎসকের সাথে কথা বললে জানা যায়, গর্ভবতী মায়েদের তিনটি মূল বিষয় সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হয়: পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত প্রেগন্যান্সি চেকআপ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন। উদাহরণ হিসেবে এক চিকিৎসক জানান, অনেক মা এখনো সকালে নাস্তা বাদ দিয়ে চলেন, যা রক্তচাপ কমে যাওয়া বা দুর্বলতার ঝুঁকি বাড়ায়। তিনি বলেন, সকালে অল্প পরিমাণ পরোটা বা খিচুড়ি, সঙ্গে এক কাপ চা বা ফল খাওয়া খুবই উপকারী। তিনি আরও জানান, ইনশাআল্লাহ সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে গর্ভকালীন জটিলতা অনেকটাই কমে যায়।

সম্প্রতি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক প্রত্যন্ত এলাকার এক মায়ের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়। তিনি জানান, আগে নিয়মিত চেকআপের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা ছিল না। কিন্তু এখন পরিবার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শে প্রতি মাসে অন্তত একবার চেকআপ করাতে আসেন। তিনি বলেন, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, রক্তচাপ পরীক্ষা আর ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং তাকে নিজের ও শিশুর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আরও নিশ্চিন্ত করেছে। তার কথায়, আগে ভয় লাগলেও এখন মনের দিক থেকেও অনেক শক্ত অনুভব করেন।

গর্ভকালীন মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও বিশেষজ্ঞরা বিশেষ গুরুত্ব দেন। এই সময় অনেক মায়ের মধ্যে অযথা দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ দেখা যায়, যা মা ও শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। পরিবার, স্বামী এবং আশপাশের পরিবেশ যদি সহায়ক হয়, তবে মা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী অনুভব করেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিবারের উচিত মায়ের বিশ্রাম, খাবার এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা। পরিবারে ইতিবাচক পরিবেশ থাকলে পুরো গর্ভকালটাই স্বাভাবিকভাবে কাটে, মাশাআল্লাহ।

সবশেষে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই যেকোনো শারীরিক অসুবিধা হলে দেরি না করে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। আজকাল Pathao বা অন্যান্য রাইডশেয়ার সেবা থাকায় শহরাঞ্চলে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে পৌঁছানো আরও সহজ হয়েছে। নিয়মিত পরামর্শ, পুষ্টিকর খাবার এবং নিরাপদ জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে মা ও শিশুর জন্য একটি সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ।

Top comments (5)

Collapse
 
real_jara profile image
জারা চৌধুরী

আমার অভিজ্ঞতায় গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চেকআপ, আয়রন-ফলিক অ্যাসিড এবং পরিষ্কার পানি খাওয়া খুব জরুরি, ইনশাআল্লাহ এতে মা আর শিশুর দুজনেরই স্বাস্থ্য ভালো থাকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এখন সেবা বেশ উন্নত, সুযোগটা নিলে উপকার পাবেন ভাই।

Collapse
 
arifkhan profile image
আরিফ খান

আমার বউয়ের প্রথম প্রেগন্যান্সিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে সেবা পেয়েছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ সত্যিই অনেক ভালো ছিল।

Collapse
 
tisha_127 profile image
তিশা রহমান

মাশাআল্লাহ, অনেক দরকারি তথ্য। নতুন মায়েদের জন্য এই পোস্টটা সত্যিই উপকারী হবে।

Collapse
 
rasel31 profile image
রাসেল রায়

রাজশাহী বিভাগের গ্রামাঞ্চলে এই সেবাগুলো কতটা সহজলভ্য আসলে? মামা, কেউ কি জানেন?

Collapse
 
pranto_islam profile image
Pranto Islam

মামা, এসব বইয়ের কথা বলে লাভ নাই, গ্রামের হাসপাতালগুলার বাস্তব অবস্থা দেখলে মাথা গরম হয়ে যায় আল্লাহ বাঁচাক।