২৩ জুলাই ২০২৫, ঢাকা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে স্বাস্থ্যসচেতনতার হার আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে, বিশেষ করে শহুরে এলাকায়। ধানমন্ডি, গুলশান ও মিরপুরের বিভিন্ন ফিটনেস সেন্টার এবং পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন যে মানুষ এখন সুষম ডায়েট প্ল্যান সম্পর্কে আগের চেয়ে বেশি আগ্রহী। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক খাবার নির্বাচন ও নিয়মিত রুটিন অনুসরণ করলে দৈনন্দিন জীবন আরও সুস্থ ও কর্মক্ষম হয়ে ওঠে। অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এবং শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যক্তিগত ডায়েট প্ল্যান তৈরি করছেন।
আমার নিজের অভিজ্ঞতায়ও দেখেছি যে অতিরিক্ত ব্যস্ততার কারণে আমরা অনেক সময় ভুল সময়ে খাবার খাই অথবা ফাস্ট ফুডের ওপর বেশি নির্ভর করি। ধানমন্ডির একটি পুষ্টি পরামর্শক কেন্দ্রে আলাপ করতে গিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ জানালেন যে দিনে তিন বেলার খাবারের পাশাপাশি দুটো হালকা নাস্তা এবং পর্যাপ্ত পানি শরীরকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। তিনি আরও বললেন, আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেক মানুষ কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের সঠিক সমন্বয় সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি দেখালেন যে সকালের নাস্তায় ওটস, ডিম বা ফলের সাথে অল্প বাদাম খুবই উপকারী।
এদিকে অনেকে তাদের নিয়মিত খাবারের তালিকায় দেশীয় পুষ্টিকর খাদ্য যুক্ত করছেন। যেমন খিচুড়ি, ডাল, সবজি, ইলিশ বা গ্রিলড মাছ এখন ডায়েট প্ল্যানে নিয়মিত রাখা হয়। চটপটি বা ফুচকার প্রতি টান থাকলেও এগুলো পরিমিতভাবে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ইনশাআল্লাহ সঠিক পরিকল্পনা মেনে চললে দীর্ঘমেয়াদে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। সম্প্রতি কয়েকজন তরুণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল যে তারা Pathao Food বা অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহার করলেও এখন স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকছেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন যে যাদের দীর্ঘ সময় অফিসে বসে কাজ করতে হয় তারা অবশ্যই খাবার গ্রহণের সময়সূচি ঠিক রাখতে হবে। অনেকেই দুপুরে ভাতের পরিবর্তে স্যালাড, গ্রিলড চিকেন বা হালকা খাবার নিচ্ছেন যাতে কাজের শেষে ক্লান্তি কম অনুভূত হয়। ধানমন্ডির বেশ কিছু অফিস এখন কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের ছোট কর্নারও চালু করেছে, যা কর্মীদের ভালো অভ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যেকোনো ডায়েট প্ল্যান শুরু করার আগে অবশ্যই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ও দৈনন্দিন কাজের ধরন বিবেচনা করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া বা YouTube থেকে দেখে ডায়েট কপি না করে বরং নিজের জন্য উপযুক্ত একটি পরিকল্পনা তৈরিই সবচেয়ে জরুরি। সচেতনতা বাড়ার ফলে আশা করা যায়, দেশের মানুষ আরও সুস্থ জীবনযাপন করার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। ✨
Top comments (4)
bhai shushom diet plan shune amar rongpur er chacha bolse, "mama shob thik ase, kintu vat komai dile ami stress e mara jabo" 😂😂
যাই হোক, মামা কাল রাতে রাজশাহীতে এমন বৃষ্টি হল যে রাস্তায় হাঁটাই মুশকিল ছিল আলহামদুলিল্লাহ একটু শীতল লাগছে এখন।
আমার অভিজ্ঞতা আলাদা, ভাই; শহরের বাইরে এখনো মানুষ সুষম ডায়েট নিয়ে ততটা সচেতন না, অনেকেই তো বেসিক তথ্যই জানে না। তাই পুরো দেশেই সচেতনতা বেড়েছে বলা ঠিক না মনে হয়।
যাই হোক, মামা গতকাল বরিশাল থেকে ফোন দিয়ে বলছিল বাজারে নাকি আবার ইলিশের দাম বাড়ছে। আল্লাহ রহম করুন সবাইকে।