১৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আগ্রহ এবং সচেতনতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রযুক্তি খাতের কর্মীদের মধ্যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বার্নআউট নিয়ে আলোচনা এখন অনেক বেশি খোলামেলা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সময়ে কাজের চাপ, দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে কাজ করা, আর শহরের ব্যস্ত জীবনধারা মানুষকে মানসিকভাবে দ্রুত ক্লান্ত করে ফেলছে।
সিলেট সদর এলাকার বেশ কয়েকজন তরুণ সফটওয়্যার ডেভেলপার জানিয়েছেন যে রিমোট কাজ এবং বাড়তি প্রজেক্ট ডেডলাইন তাদের মাঝে অস্থিরতা তৈরি করছে। একজন ডেভেলপার উদাহরণ হিসেবে বলেন যে প্রতিদিন রাত পর্যন্ত কোড রিভিউ করতে করতে একসময় মনে হচ্ছিল মাথা আর কাজ করছে না। পরে তিনি বুঝতে পারেন মানসিক বিশ্রামও শারীরিক বিশ্রামের মতোই জরুরি। একই অভিজ্ঞতা অনেকেই শেয়ার করেছেন, যা থেকে বোঝা যায় মানসিক চাপে আক্রান্ত হওয়া এখন আর বিরল নয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিং নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা অনেক সহজলভ্য হয়েছে। Pathao Health এবং কয়েকটি অনলাইন সেবা কেন্দ্র সম্প্রতি মানসিক পরামর্শদানের সেশন চালু করেছে, যা তরুণদের জন্য বেশ সহায়ক হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
ব্যক্তিগত জীবনে অনেকে ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমেও মানসিক স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছেন। যেমন প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটা, পরিবারের সঙ্গে চা খাওয়া, কিংবা সপ্তাহে একদিন বিরিয়ানি বা খিচুড়ির মতো পছন্দের খাবার খেয়ে মন ভালো করা। মাশাআল্লাহ এসব সাধারণ অভ্যাসও মানসিক প্রশান্তির জন্য দারুণ কাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে চাপের মধ্যে আছেন তারা যেন দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন, কারণ মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা এখন দিনের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
Top comments (5)
hahaha mama, mental health niye awareness barle amader group er half bhai ra ar breakup ke national disaster banabe na InshaAllah.
Sotti kotha bhai, amader generation e mental health niye kotha bolte ar lojja nei, eta onek boro change.
সামাজিক ট্যাবু ভাঙতে শুরু করেছে এটাই বড় পরিবর্তন, তবে গ্রামীণ পর্যায়ে পৌঁছাতে আরো অনেক কাজ বাকি আছে।
সত্যি কথা ভাই, আজকালকার তরুণরা এই বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন হচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তরুণদের এই সচেতনতা সত্যিই আশা জাগায় আলহামদুলিল্লাহ।