বিয়ের প্ল্যানিং সবসময়ই একটু টেনশনের বিষয়, বিশেষ করে আমাদের ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে। গুলশান, বনানী বা ধানমন্ডির ভেন্যুগুলো সাধারণত আগেভাগেই বুক হয়ে যায়, তাই পরিকল্পনা শুরু করা উচিত অন্তত চার থেকে ছয় মাস আগে। আমি নিজেই কয়েক মাস আগে এক বন্ধুর বিয়ের প্রস্তুতিতে সাহায্য করেছিলাম, আর তখনই বুঝেছি যে সুসংগঠিত তালিকা থাকলে কাজ অনেক সহজ হয় আলহামদুলিল্লাহ। প্রথম ধাপই হচ্ছে বাজেট ঠিক করা এবং কোন কোন আইটেমে কত খরচ করতে চান তা পরিষ্কার করা।
বাজেট ঠিক হয়ে গেলে ভেন্যু নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার মধ্যে ব্যাংকুয়েট হল, রুফটপ স্পেস বা কমিউনিটি সেন্টার অনেক পাওয়া যায়। যদি বিয়ে শীতকালে হয়, যেমন এখন ডিসেম্বরের মতো সময়, তাহলে আউটডোর সেটআপও করা যায় ইনশাআল্লাহ। তবে ভেন্যু বুকিংয়ের সময় তারিখ, অতিথি সংখ্যা এবং খাবারের মেনু নিয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলে নেয়া দরকার। মনে রাখবেন, বড় শহরে ট্রাফিক একটি বড় বিষয়, তাই অতিথিদের যাতায়াত সহজ হয় এমন লোকেশন বেছে নিলে সবার জন্যই সুবিধা হবে।
খাবারের মেনুই সাধারণত বিয়ের অন্যতম আকর্ষণ। বাঙালি বিয়ে মানেই অতিথিরা আশা করে সুস্বাদু বিরিয়ানি, কাবাব, চাটনি এবং শেষে মিষ্টান্ন। অনেকেই ইলিশ বা কোরমা রাখেন, আবার কেউ কেউ ফিউশন মেনুও যুক্ত করছেন এখন। আমি যেই বিয়েতে সাহায্য করেছিলাম, সেখানে ক্যাটারিং টিমকে দিয়ে আগে একটি টেস্টিং সেশন করানো হয়েছিল, আর এতে সিদ্ধান্ত নেয়া অনেক সহজ হয়েছিল মাশাআল্লাহ। চাইলে সফট ড্রিংকসের পাশাপাশি চা বা কফির কর্নারও রাখা যায়।
পরবর্তী ধাপে থাকে সাজসজ্জা, পোশাক এবং ফটোগ্রাফি। বিয়ের কালার থিম ঠিক করলে বাকী সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া সহজ হয়। এখন অনেকেই আর্টিফিশিয়াল ফুল, পরী লাইট এবং মিনিমালিস্ট সাজসজ্জা পছন্দ করেন। আর ফটোগ্রাফারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আগের কাজ দেখে তারপর বুকিং দিন। আপনারা যদি গুলশানের মতো ব্যস্ত এলাকায় কাজ করেন, তাহলে সময় বাঁচানোর জন্য অনলাইনেই বেশিরভাগ প্ল্যানিং মিটিং করে নিতে পারেন। আজকাল Daraz বা Facebook পেজের মাধ্যমে ডেকোরেশন আইটেমও অর্ডার করা যায়।
সবশেষে, বিয়ের দিনটিতে শান্ত থাকা এবং পরিবারের সাথে মুহূর্তগুলো উপভোগ করাই সবচেয়ে জরুরি। যত কাজই থাকুক, সেগুলো ভাগ করে দিলে চাপ অনেক কমে যায়। পরিবারের সদস্য কিংবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে সব কিছু সুন্দরভাবে এগোয়। ইনশাআল্লাহ, পরিকল্পনা ভিতর থেকে শক্তিশালী হলে বিয়ের দিনটিও হবে স্মরণীয় আর আনন্দময়। শুভকামনা রইলো যাদের বিয়ে বা বিয়ের পরিকল্পনা সামনে।
Top comments (5)
আমার মতে ঢাকার ভেন্যুগুলো দ্রুত বুক হয়ে যাওয়ায় আগে থেকেই বাজেট আর বিকল্প লোকেশন ঠিক করে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এতে শেষ মুহূর্তের টেনশন কমবে ইনশাআল্লাহ। এমন গাইড অনেককে বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করবে।
hahaha bhai venue booking er tension er kotha shunei amar ghaam chhutche, ar ami to ekhono single 😂
Ekdom thik bolechhen bhai, 4-6 mash age theke plan na korle Dhaka te venue paowa really mushkil.
Haha mama, biye planning er tanjanai dekhle mone hoy amar biye to ekhono pending thakbei InshaAllah. Jei venyu dekhi, shobai amar agei book kore rakse bhai!
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, আগে থেকে প্ল্যান না করলে ঢাকায় ভালো ভেন্যু পাওয়াই মুশকিল।