আজ ৮ মে ২০২৫, রাজশাহীর গরম আবহাওয়ায় কাজের চাপ সামলাতে সামলাতে ফিটনেস ধরে রাখা সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ মনে হয়। বিশেষ করে আমাদের মতো চিকিৎসা পেশায় যারা আছি, তাদের অনেক সময়ই অনিয়মিত রুটিন হয়ে যায়। তাই ভাই, নিজের অভিজ্ঞতা আর আশপাশের লোকজনকে দেখে বুঝেছি, ফিটনেস মানে শুধু জিমে যাওয়া না, বরং দৈনন্দিন জীবনে কিছু ছোট অভ্যাস তৈরি করা। আলহামদুলিল্লাহ, নিয়ম মানলে ফল মেলে।
আমি নিজে সকালে নামাজের পর হালকা হাঁটা দিয়ে দিনের শুরু করি। রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে হাঁটার অভিজ্ঞতা সত্যিই মন ভালো করে দেয়, আর ইনশাআল্লাহ এটা মুড আর এনার্জি দুটোই বাড়ায়। অনেকেই ভাবে ব্যায়াম মানেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়, আসলে প্রতিদিন বিশ থেকে ত্রিশ মিনিটের হালকা হাঁটা বা স্ট্রেচই শরীরকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন, তাদের জন্য এটা খুবই কার্যকর।
খাবারের দিক থেকেও একটু সচেতন হওয়া জরুরি। আমাদের এখানে বিরিয়ানি, চটপটি, ফুচকা খুব প্রিয় হলেও সবকিছুই পরিমিতভাবে খাওয়া ভাল। আমি নিজের জন্য সপ্তাহে দুদিন খিচুড়ি আর সালাদের মতো হালকা খাবার রাখি। এতে শরীরও ভালো থাকে, আর কাজের চাপও সামলাতে সুবিধা হয়। পানি বেশি খাওয়াটাও খুব জরুরি, গরমে শরীর দ্রুত পানি হারায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের কথাও ভুলে গেলে চলবে না। ফিটনেস শুধু শরীরের না, মনেরও। দিনে অন্তত পাঁচ থেকে দশ মিনিট নীরবভাবে বসে নিজের সাথে সময় কাটাই। এতে টেনশন কমে যায়। মাশাআল্লাহ, এতে ঘুমও ভালো হয়। চাইলে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সাথে একটু গল্প করাও ভালো থেরাপি।
সবশেষে বলব, ফিটনেস মানে কঠিন কিছু না। ছোট ছোট নিয়মিত অভ্যাসই বড় পরিবর্তন আনে। রাজশাহীর ব্যস্ত জীবনে আমরাই যদি নিজের দিকে একটু নজর দিই, তাহলে ইনশাআল্লাহ সুস্থ থাকা কঠিন কিছু নয়। ভাই, আপনাদের কেউ যদি নিজের রুটিন শেয়ার করেন, তাহলে আরও আইডিয়া পাওয়া যাবে।
Top comments (5)
bhai office e desk job korle ki kichu exercise ache ja bose boseo kora jay?
আমার মতে ব্যস্ত রুটিনে ছোট ছোট অভ্যাস ঠিক রাখাই আসল ফিটনেসের ভিত্তি, আর এটা নিয়মিত করলে ইনশাআল্লাহ অনেক চাপই কমে যায়। রাজশাহীর গরমে হাইড্রেশনটা আরও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ভাই।
আমিও ডাক্তার, রাতের ডিউটির পর সকালে ১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করি, এতেই অনেক ফারাক পাই আলহামদুলিল্লাহ।
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, ফিটনেস মানে শুধু জিম না বরং দৈনন্দিন লাইফস্টাইলে ছোট ছোট পরিবর্তন আনা।
Sobcheye important point ta dhorechen bhai, fitness mane gym na, lifestyle change. Amra doctors ra nijera patient ke boli, kintu nije mani na, eta ekta boro shomossa.