১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, চট্টগ্রাম থেকে: সাম্প্রতিক দিনে দেশে ঘরোয়া চিকিৎসার প্রতি মানুষের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। বিশেষ করে মৌসুমি সর্দি, কাশি, জ্বর বা হালকা ব্যথাবেদনার ক্ষেত্রে অনেকেই এখন বাসায় সহজ উপায়ে উপশমের চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ উপসর্গে ঘরোয়া চিকিৎসা উপকারী হতে পারে, তবে সঠিক জ্ঞান না থাকলে বিপরীত প্রভাবও পড়তে পারে। তাই সচেতনতা জরুরি।
ঘরোয়া চিকিৎসার প্রতি এই আস্থা দীর্ঘদিনের হলেও, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের রেসিপি ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের অনেক পরিবারই আদা চা, লেবু-গরম পানি, মধু, কালিজিরা বা ঘৃতকুমারীর মতো উপকরণকে প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ হিসেবে ব্যবহার করছেন। একজন এনজিও কর্মী হিসেবে আমি নিজেও দেখেছি, গ্রামাঞ্চলের অনেক পরিবার ছোটখাটো সমস্যায় প্রথমেই ঘরোয়া উপায় বেছে নেন। আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ক্ষেত্রেই তা উপকারীও হয়। তবে সব উপসর্গ একইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় না বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন।
উদাহরণ হিসেবে, কয়েক সপ্তাহ আগে আমার এক সহকর্মী হালকা কাশির জন্য আদা চা আর মধু ব্যবহার করে ভালো ফল পেয়েছিলেন। কিন্তু আরেকজন একই উপসর্গে অনলাইনে দেখা একটি ঘরোয়া মিশ্রণ গ্রহণ করে উল্টো অস্বস্তিতে ভুগেন। পরে চিকিৎসকের কাছে গেলে জানা যায়, ওই মিশ্রণে থাকা একটি উপাদান তার অ্যালার্জি ট্রিগার করেছিল। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অজানা মিশ্রণ ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, ঘরোয়া চিকিৎসাকে পুরোপুরি বাতিল করার কিছু নেই, তবে সীমা জেনে চলা জরুরি। প্রাথমিক উপসর্গে গরম ভাপ নেওয়া, লেবু-হানি চা বা পর্যাপ্ত পানি পান করার মতো উপায় উপকারী হতে পারে। কিন্তু শ্বাসকষ্ট, উচ্চ জ্বর, বুকে ব্যথা বা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ক্ষেত্রে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। ইনশাআল্লাহ সঠিক পরামর্শ ও সচেতনতার মাধ্যমে ঘরোয়া চিকিৎসা মানুষের উপকারেই আসবে।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা সবাইকে অনুরোধ করছেন, তথ্য যাচাই করে ব্যবহার করতে এবং প্রয়োজনে সরকারিভাবে অনুমোদিত স্বাস্থ্যসেবা হটলাইনের সহায়তা নিতে। কারণ ভুল চিকিৎসা কখনোই সমাধান নয়, বরং ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
Top comments (5)
Amar ammu bashi bashi ada-modhu diye chaa banay sordi hole, kaj kore thik kintu serious kichu hoile doctor er kache jaoa lagbe bhai.
আমার অভিজ্ঞতায় হালকা সর্দি বা কাশিতে ঘরোয়া চিকিৎসা অনেক সময় কাজে দেয়, কিন্তু উপসর্গ বাড়লে ডাক্তার দেখানোই ভালো ইনশাআল্লাহ। তাই দুটোই ব্যালান্স করে চলাই ঠিক মনে হয় ভাই।
ভাই, ঘরোয়া চিকিৎসা করতে গিয়ে কোন লক্ষণগুলো দেখলে সাথে সাথে ডাক্তারকে দেখানো উচিত বলে আপনি মনে করেন? ইনশাআল্লাহ একটু পরিষ্কার করে বলবেন?
হাহা মামা, ঘরোয়া চিকিৎসা করতে করতে এখন দেখি সবাই ইউটিউব ডাক্তার হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ। শুধু সাবধানে করবেন, না হলে শেষে আবার ডাক্তার ভাইকেই দৌড়াতে হবে।
ভাই, বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও কি এই ঘরোয়া চিকিৎসা নিরাপদ নাকি ডাক্তার দেখানো উচিত?