১০ আগস্ট ২০২৫, রাজশাহী: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণদের মধ্যে সঠিক ডায়েট প্ল্যান নিয়ে আগ্রহ চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক জীবনযাত্রা, পড়াশোনার চাপ এবং সময়ের অভাবের কারণে অনেকেই নিয়মিত খাবারের সময় মানতে পারেন না, যা পরবর্তীকালে নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এখন অনেকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নতুনভাবে ভাবছেন, আলহামদুলিল্লাহ এটা একটি ভালো দিক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা নিজেদের রুটিন অনুযায়ী সহজ এবং টেকসই ডায়েট প্ল্যান তৈরি করতে চেষ্টা করছেন। একজন শিক্ষার্থী জানান যে প্রতিদিন সকালে তিনি পরোটা ছেড়ে ওটস এবং ডিম খাওয়া শুরু করেছেন, সাথে চিনি ছাড়া চা পান করেন। মাশাআল্লাহ এতে নাকি তার শক্তি বাড়ছে এবং ক্লাসে মনোযোগও ভালো থাকছে। আরেকজন বলছিলেন, ইনশাআল্লাহ তিনি আগামী মাস থেকে নিয়মিত হাঁটাহাঁটিও শুরু করবেন যাতে ডায়েটের পাশাপাশি কিছু ব্যায়ামও হয়।
বাংলাদেশে ডায়েট প্ল্যান বলতে অনেকে শুধু ওজন কমানো বোঝেন, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি মূলত শরীরের প্রয়োজন বুঝে সঠিক পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি গ্রহণের বিষয়। অনেকেই এখন বাসায় সহজ খাবার যেমন খিচুড়ি, সবজি, ডাল এবং মাছকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিশেষ করে ইলিশ ও সবজি ভিত্তিক রান্না শরীরের জন্য উপকারী হওয়ায় এগুলো নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। যারা হোস্টেলে থাকেন তারাও এখন Pathao Food বা পাশের দোকান থেকে কম তেলে রান্না করা খাবার নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
একজন রাজশাহী সিটির বাসিন্দা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তিনি আগে অনিয়মিত খাবার খেতেন এবং রাতে ভারী খাবার খেয়ে সমস্যায় পড়তেন। এখন তিনি রাতের খাবারে হালকা ভাত, সবজি এবং স্যুপ খাচ্ছেন। এর ফলে ঘুম ভালো হচ্ছে এবং সকালে ফ্রেশ লাগছে। তিনি জানান যে bKash দিয়ে অনলাইন গ্রোসারি অর্ডার করায় এখন বাসায় সহজেই স্বাস্থ্যকর উপকরণ সংগ্রহ করা যায়, যা পুরো প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করেছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি ডায়েট প্ল্যান সফল করতে হলে তা অবশ্যই ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন ও খাদ্যাভ্যাসের সাথে মানানসই হতে হবে। খুব কঠোর ডায়েট অনেক সময় টেকসই হয় না, তাই ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনাই সবচেয়ে ভালো। সঠিক ডায়েট, সামান্য ব্যায়াম এবং নিয়মিত ঘুম – এই তিনটি অভ্যাস বজায় থাকলে তরুণরা সহজে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ সামনে সচেতনতা আরও বাড়লে দেশের বেশিরভাগ তরুণই স্বাস্থ্যকর জীবনের পথে এগিয়ে যাবেন।
Top comments (0)