ঢাকায় সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া চিকিৎসার ব্যবহার আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, বিশেষ করে নতুন মায়েদের মধ্যে। মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ও মিরপুর এলাকায় অনেক পরিবার এখন ছোটখাটো অসুস্থতায় প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া পদ্ধতি চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে এসব পদ্ধতি উপকারী হতে পারে, তবে যেকোন জটিলতায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। ১৯ জুন ২০২৫ তারিখে স্বাস্থ্যখাতে সামগ্রিক আলোচনা বলছে যে মানুষ এখন আগের তুলনায় আরও বেশি সচেতন।
নতুন মায়েরা প্রায়ই শিশুর সর্দি, হালকা কাশি বা গ্যাসের সমস্যায় ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যবহার করেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমার পাশের ফ্ল্যাটের আপা তাঁর ছয় মাসের বাচ্চার হালকা সর্দিতে গরম পানির ভাপ ও লেবুর রস মেশানো কুসুম গরম পানি ব্যবহার করে উপকার পেয়েছিলেন, মাশাআল্লাহ। তিনি বলছিলেন, ডাক্তার দেখানোর আগে শিশুকে কিছুটা আরাম দেওয়ার জন্য এই পদ্ধতিগুলো কাজে দেয়। তবে তিনি আলহামদুলিল্লাহ mindful থাকেন যে শিশুর অবস্থা না বদলালে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এই ধরনের অভিজ্ঞতা অনেক মায়ের কাছ থেকেই শোনা যাচ্ছে।
ঘরোয়া চিকিৎসার মধ্যে আদা, মধু, তুলসী পাতা, কালোজিরা ও লেবুর ব্যবহার এখনো বাংলাদেশের ঘরে ঘরে প্রচলিত। রাজধানীর অনেক মা বলছেন, ব্যস্ত জীবনে সহজলভ্য এসব উপকরণ দ্রুত ব্যবহার করা যায় এবং এগুলোর প্রভাবও সাধারণত কোমল। যেমন হালকা গলার ব্যথায় গরম পানি ও মধু মিশিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়। আবার পেটের অস্বস্তিতে হালকা খিচুড়ি বা জিরা-ভাজা পানি খাওয়াও অনেকেই ব্যবহার করেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন যে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে যেকোন ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি।
এই বিষয়ে স্থানীয় ক্লিনিকগুলোর চিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, ঘরোয়া চিকিৎসা প্রথম ধাপে সহায়ক হলেও সেগুলো কখনোই মূল চিকিৎসার বিকল্প নয়। বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা তীব্র ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া অপরিহার্য। অনেক সময় পরিবারগুলো ঘরোয়া চিকিৎসায় অতিরিক্ত নির্ভর করে দেরিতে হাসপাতালে যান, যার ফলে জটিলতা তৈরি হয়। তাই চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহারের পাশাপাশি উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।
সামগ্রিকভাবে বলা যায়, ঘরোয়া চিকিৎসার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে এবং তা আমাদের সমাজে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির দিকেই ইঙ্গিত দেয়। তবে সঠিক তথ্য জানা, উপসর্গ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ইনশাআল্লাহ সবার জন্যই ভালো ফল বয়ে আনবে। নতুন মায়েদের জন্য এই ভারসাম্যটা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই সতর্কতা সবার আগে। 🌿
Top comments (0)