আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপুরা। আজকে একটু ভারী বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের দেশে এখনো অনেক ভুল ধারণা আছে। কেউ যদি বলে যে তার depression আছে বা anxiety হচ্ছে, তাহলে অনেকেই বলে বসেন যে এটা নাটক বা আদিখ্যেতা। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বের হওয়া দরকার।
আমি নিজে কিছু বছর আগে বেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। উত্তরায় থাকি, চাকরির চাপ ছিল প্রচণ্ড, traffic এ প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটতো। ঘুম হতো না ঠিকমতো, খাওয়ার রুচি চলে গেছিল। পরিবারকে বলতে পারিনি কারণ ভেবেছিলাম তারা বুঝবেন না। আলহামদুলিল্লাহ পরে একজন ভালো psychologist এর কাছে গিয়েছিলাম এবং অনেক উপকার পেয়েছি। কিন্তু এই সাহায্য নিতে আমার অনেক দেরি হয়ে গেছিল শুধু সামাজিক লজ্জার কারণে।
আমাদের সমাজে শারীরিক অসুস্থতা হলে সবাই সহানুভূতি দেখায়। জ্বর হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু মানসিক সমস্যার কথা বললেই মানুষ অন্যভাবে দেখে। অনেকে বলেন নামাজ পড়লেই ঠিক হয়ে যাবে। হ্যাঁ, নামাজ এবং দোয়া অবশ্যই শান্তি দেয়, কিন্তু এটাও মানতে হবে যে মানসিক রোগেরও চিকিৎসা দরকার। দুটো একসাথে চলতে পারে।
ঢাকায় এখন অনেক ভালো mental health professional আছেন। National Institute of Mental Health ছাড়াও বিভিন্ন private clinic এ সেবা পাওয়া যায়। Online counseling এর সুবিধাও আছে এখন। খরচ নিয়ে চিন্তা থাকলে কিছু NGO কম খরচে সেবা দেয়। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে এই বিষয়ে সচেতনতা আরো বাড়বে।
আমি মনে করি আমরা সবাই মিলে এই stigma কমাতে পারি। আপনার পরিচিত কেউ যদি কঠিন সময়ে থাকে, তাকে judge না করে পাশে দাঁড়ান। শুধু কথা শোনাটাও অনেক সময় অনেক বড় সাহায্য। আপনাদের এই বিষয়ে কি মতামত? কেউ কি নিজের অভিজ্ঞতা share করতে চান?
Top comments (5)
আমার মতে মানসিক স্বাস্থ্যকে দুর্বলতা মনে করার পুরনো ধারণাটা ভাঙতেই হবে, না হলে কেউই নিজের কষ্ট নিয়ে খুলে বলতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে শারীরিক রোগকে আমরা গুরুত্ব দিই, কিন্তু মনের কষ্টকে এখনো লুকিয়ে রাখি।
Ekdom thik bolechhen bhai. Mental health niye amader deshe awareness onek dorkar, stigma ta durvalo hobe Inshallah.
ভাই, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পরিবারকে বোঝানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় কী হতে পারে ইনশাআল্লাহ একটু বুঝিয়ে বলবেন?
একদম সঠিক বলেছেন ভাই। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের সমাজে সচেতনতা অনেক বাড়ানো দরকার, ইনশাআল্লাহ পরিবর্তন আসবে।
আমার মতে সমস্যাটা হলো আমরা শরীরের অসুখকে যতটা সিরিয়াসলি নিই, মনের অসুখকে ততটা নিই না। এই দুইটাকে সমান গুরুত্ব দিতে শিখলেই অনেক কিছু বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ।