সম্প্রতি ঢাকায় বিভিন্ন স্বাস্থ্যসচেতন কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে টেকসইভাবে ওজন কমাতে নিয়মিত জীবনযাপনই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। তাদের মতে, প্রতিদিন হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করলে শরীরের বিপাকক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি দ্রুত খরচ হয়। পাশাপাশি ঘুমের মান ঠিক রাখা ও মানসিক চাপ কমানোও ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেকে এখন পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে নিজের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা সাজিয়ে নিচ্ছেন, যা মাশাআল্লাহ বেশ উপকারী হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন যে ফাস্ট ফুড ও অতিরিক্ত মিষ্টি কমিয়ে বাড়ির সাদামাটা খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর স্বাভাবিকভাবে সুস্থ থাকে। বিশেষ করে শাকসবজি, ডাল, মাছ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই এখন কাজের ফাঁকে অল্প সময় বের করে হেঁটে চলাফেরা করার চেষ্টা করছেন, যা আলহামদুলিল্লাহ ভাল ফল দিচ্ছে। তাদের মতে, ইনশাআল্লাহ নিয়মিত অভ্যাস বজায় রাখতে পারলে ওজন কমানো কঠিন নয়।
ঢাকার ধানমন্ডি, গুলশান ও মিরপুর এলাকায় এখন ছোট ছোট ফিটনেস গ্রুপ গড়ে উঠছে, যেখানে মানুষ একসঙ্গে ব্যায়াম করে অনুপ্রাণিত থাকছেন। এসব উদ্যোগে তরুণদের সঙ্গে মধ্যবয়সী ব্যক্তিরাও যুক্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন সচেতনতা বাড়লে ভবিষ্যতে স্থূলতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। সাধারণ মানুষকে তারা পরামর্শ দিচ্ছেন যে যেকোনো ওজন কমানোর পরিকল্পনা করার আগে নিজের শারীরিক অবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
Top comments (0)