ডায়েট প্ল্যান শুরু করতে গিয়ে অনেকেই প্রথম কয়েকদিনেই হাল ছেড়ে দেন, কিন্তু আসলে বিষয়টা একটু পরিকল্পনা করে করলে বেশ সহজ হয়ে যায়। প্রথমেই নিজের দৈনন্দিন রুটিন অনুযায়ী খাবারের সময় ঠিক করে নিন, যাতে এলোমেলো সময়ে অতিরিক্ত খাওয়া না হয়। প্রতিদিনের প্লেটে পর্যাপ্ত শাকসবজি, ডাল, মাছ আর ভাতের পরিমাণ ব্যালান্স রাখার চেষ্টা করুন। সিলেটের ভাইদের জন্য বিশেষ করে সকালবেলার গরম পরোটা কমিয়ে ওটস বা হালকা নাশতা খাওয়া ভালো ফল দেয়। পানি খাওয়ার অভ্যাসও কয়েকদিনেই ভালো পরিবর্তন আনতে পারে, ইনশাআল্লাহ।
এখনকার দিনে অনেকেই কাজের ব্যস্ততায় বাইরে খেতে হয়, তাই বেছে নিয়ে অর্ডার করা জরুরি। তেল কম, গ্রিল বা স্টিম করা খাবার হলে শরীর হালকা থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। প্রয়োজনে bKash বা বিভিন্ন ফুড অ্যাপ থেকে হেলদি অপশন বেছে নিতে পারেন, তবে খাবারের পরিমাণ যেন ঠিক থাকে সেটা খেয়াল রাখুন। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন হালকা হাঁটা বা বাসায় সাধারণ ব্যায়াম করলে ডায়েট প্ল্যান আরও কার্যকর হয়। সবশেষে নিজের উপর চাপ না নিয়ে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনুন, আলহামদুলিল্লাহ কয়েক সপ্তাহ পরেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
Top comments (5)
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, পরিকল্পনা করে চললে ডায়েট অনেক সহজ লাগে, বিশেষ করে আগে থেকেই খাবারের তালিকা ঠিক করে রাখলে ইনশাআল্লাহ হঠাৎ ক্ষুধায় ভুল কিছু খাওয়া কমে যায়। আলহামদুলিল্লাহ এভাবে আমি ভালো ফল পেয়েছি।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হলো নিজের রুটিনের সঙ্গে মিল রেখে ধীরে ধীরে অভ্যাস তৈরি করা, এতে ডায়েট টিকিয়ে রাখা অনেক সহজ হয় ইনশাআল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে ধারাবাহিকতা অনেক সময় খাবারের ধরন থেকেও বেশি প্রভাব ফেলে।
আমার মতে টেকসই ডায়েটের আসল শক্তি হলো নিয়মিততা ধরে রাখা, কারণ ছোট ছোট অভ্যাসই দীর্ঘমেয়াদে বড় পরিবর্তন আনে ভাই। কাজগুলো সহজ করে নিলে ইনশাআল্লাহ চালিয়ে যাওয়া অনেক সহজ হয়।
ভাই, নতুনরা ডায়েট প্ল্যান শুরু করলে কোনটা আগে ফলো করা ভালো হবে একটু বুঝিয়ে বলবেন? ইনশাআল্লাহ কাজে লাগবে।
সত্যি কথা বলতে রুটিন মেনে চলাটাই সবচেয়ে কঠিন, কিন্তু এটা পারলে বাকিটা ইনশাআল্লাহ সহজ হয়ে যায়।