রাজশাহীর মানুষের ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা অনেক দিনের, তাই ইদানীং দেশে ফুটবল লিগের অবস্থা নিয়ে আলোচনা দেখলে আমারও আগ্রহ বাড়ে। ছোটবেলায় আমাদের এলাকায় বিকেলে মাঠভর্তি খেলাধুলা চলত, বিশেষ করে বাংলা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ থাকলে সবাই আলোচনায় মেতে উঠত। এখন টেলিভিশন আর মোবাইলের কারণে বাইরে খেলা কমে গেলেও ফুটবল লিগ নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে, এটা দেখে ভালোই লাগে আলহামদুলিল্লাহ। তবে মানসিকভাবে মনে হয়, দেশের লিগগুলোর সামগ্রিক মান বাড়ানো গেলে ফুটবলের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে।
মানে বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে অবকাঠামো ও ক্লাব ব্যবস্থাপনা। অনেক সময় দেখা যায় ক্লাবগুলোর মধ্যে পরিকল্পনার ঘাটতি আছে, খেলোয়াড়রা পুরো মৌসুম ধরে নিয়মিত প্রশিক্ষণ পায় না। ফুটবল লিগকে টিকিয়ে রাখতে হলে ক্লাবগুলোকে শক্তিশালী হতে হবে এবং খেলোয়াড়দের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আনতে হবে। ইউরোপের লিগ দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ হই, কিন্তু আমাদের লিগেও শৃঙ্খলা, ফিটনেস আর ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা গেলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফল আসবেই। বিশেষ করে রাজশাহীর মতো জেলাগুলোতে যদি আধুনিক ট্রেনিং সেন্টার তৈরি হয়, তাহলে প্রতিভাবান ছেলেরা ধরে রাখা সহজ হবে।
এখনকার তরুণদের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ আছে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গাইডলাইন বা সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব। আমি নিজে কয়েক বছর আগে আমার এলাকার কয়েকজন বাচ্চাকে নিয়ে ছোট্ট একটি ফুটবল প্রশিক্ষণ গ্রুপ করেছিলাম। দেখেছি, একটু উৎসাহ দিলে ওরা কত সুন্দর খেলতে পারে মাশাআল্লাহ। কিন্তু মাঠের অভাব, কোচের অভাব, আর্থিক সহায়তার অভাবের কারণে অনেক প্রতিভা চাপা পড়ে যায়। যদি স্থানীয় পর্যায়ে জেলা লিগগুলোকে আরো সক্রিয় করা যায়, তাহলে জাতীয় লিগেও ভালো খেলোয়াড় উঠে আসবে।
দেশের সমর্থক সংস্কৃতি আরও শক্তিশালী করা দরকার। বিপিএল ক্রিকেটের মতো ফুটবল লিগেও যদি সমর্থকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়ে, তাহলে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। বাংলাদেশের মানুষ খেলা ভালোবাসে, সেটা ক্রিকেটই হোক কিংবা ফুটবল। সম্প্রতি বিপিএলের ২০২৫ মৌসুমে ফর্চুন বরিশালের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে যত আলোচনা দেখলাম, মনে হলো মানুষ খেলাধুলা নিয়ে এখনো কত উচ্ছ্বসিত। ফুটবল লিগেও এমন উত্তেজনা তৈরি করা সম্ভব, যদি প্রচার বাড়ানো হয় ও খেলার মান উন্নত করা যায়।
শেষমেশ আমি বলব, ফুটবল আমাদের সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে যদি আমরা সবাই মিলে লিগকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করি। রাজশাহী হোক কিংবা ঢাকা, প্রত্যেক এলাকায় নতুন ফুটবল প্রতিভা উঠে আসছে। শুধু সুযোগটা তৈরি করে দিতে হবে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ফুটবল লিগ আরও সমৃদ্ধ হবে, আর আমরা গর্ব করে বলতে পারব যে দেশের ফুটবল আবার জেগে উঠেছে।
Top comments (7)
আমার অভিজ্ঞতায় স্থানীয় ক্লাবগুলোতে স্পন্সরশিপ বাড়লে এবং স্কুল-কলেজ লেভেলে টুর্নামেন্ট নিয়মিত হলে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলাতে পারে ইনশাআল্লাহ।
অন্য একটা কথা মনে পড়ল, ভাই কাল মিরপুরে বৃষ্টি শুরু হতেই বাস রুট একদম এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল আল্লাহ বাঁচাইছে কোনোমতে কোচিং-এ পৌঁছাইছি।
হাহা মামা, আমাদের ফুটবল লিগের ভবিষ্যৎ দেখি ইনশাআল্লাহ VAR আসার আগেই রেফারির সিটির ভরসায় চলে যাবে। তবুও রাজশাহী ভাইদের প্যাশন দেখলে মজা লাগে!
mama amar kase mone hoy amader football league er future ta VAR er moto, review dite ditei game sesh hoye jabe 😂😂 তবে inshaaAllah ekdin abar obostha bhalo hobe bhai!
আমার অভিজ্ঞতায় স্থানীয় ক্লাবগুলোকে স্পন্সরশিপ আর যুব একাডেমিতে ইনভেস্ট করতে হবে, তাহলেই লিগের মান বাড়বে ইনশাআল্লাহ।
ভাই লিগের ম্যাচ দেখতে গিয়ে দর্শক খুঁজে পাই না, আর খেলোয়াড়রা বেতন খুঁজে পায় না 😂
দারুণ লিখেছেন ভাই! রংপুরেও একই অবস্থা, আগে মাঠে যে ভিড় হত সেটা এখন আর দেখা যায় না, তবে ইনশাআল্লাহ ফুটবলের সেই দিন আবার ফিরবে।