সম্প্রতি ঢাকা শেয়ার বাজারে লেনদেনের ধরণে কিছুটা সংযম লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা অনেক বিনিয়োগকারীর মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন ও বিশ্লেষণের জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিগত পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে বাজার অংশগ্রহণকারীরা এখন আগের তুলনায় একটু বেশি সতর্ক অবস্থায় আছে। বাজারে বড় কোনও অস্থিরতা দেখা না গেলেও লেনদেনে আগের সেই তেজি চিত্রটি এখন কম চোখে পড়ছে।
মোহাম্মদপুরে অনলাইন ব্যবসা করার কারণে আমার নিজেরও শেয়ার বাজারের দিকে নজর রাখতে হয়, কারণ ব্যবসার মূলধন ব্যবস্থাপনায় এটি কখনো কখনো সহায়ক হয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেখেছি, অনেক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ধীরে ধীরে আবার বাজারে ফিরছেন, তবে আগে যেমন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতেন, এখন একটু বেশি বিশ্লেষণ করে এগোচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ এটি একটি ইতিবাচক প্রবণতা বলে মনে হয়। যারা নতুন বিনিয়োগের কথা ভাবছেন, তারা সাধারণত ব্যাংক, ফার্মাসিউটিক্যালস বা টেলিকম খাতের মতো অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল সেক্টরের প্রতি বেশি ঝুঁকছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, আজকাল বাজারে মৌলভিত্তিক শেয়ারের মূল্যায়নকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং আন্তর্জাতিক বাজারের অনিশ্চয়তা সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন। আমার একজন বন্ধু, যিনি মিরপুরে থাকেন, বলছিলেন যে তিনি এখন প্রতিটি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন, ডিভিডেন্ড ইতিহাস, এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা দেখে তবেই বিনিয়োগ করেন ইনশাআল্লাহ এ ধরনের সচেতনতা শেয়ার বাজারকে দীর্ঘমেয়াদে আরও স্থিতিশীল করতে পারে।
অনেকেই আজকাল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিয়মিত বাজার বিশ্লেষণ করছেন, বিশেষ করে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন ব্রোকারেজ সেবা এখন জনপ্রিয়। এতে দ্রুত তথ্য পাওয়া যায় এবং যেকোনো পরিবর্তনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া যায়, যদিও এতে ঝুঁকিও কিছুটা বাড়ে। শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাজারে স্বল্পমেয়াদী ওঠানামা দেখে আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরে মৌলিকভাবে শক্তিশালী কোম্পানিতে বিনিয়োগ করাই শ্রেয়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বর্তমান পরিস্থিতি এক ধরনের অপেক্ষার সময়, যেখানে বিনিয়োগকারীরা সাবধানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। বাজার যে খুব খারাপ বা খুব ভালো অবস্থায় আছে তা বলা না গেলেও, সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীলতা বজায় আছে। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কেউ নিশ্চয়তা দিতে না পারলেও, বিশ্লেষকদের আশা, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ধীরে ধীরে লেনদেন আবার সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকা খুবই স্বাভাবিক ইনশাআল্লাহ।
আমার মতে বাজারে এই ধীরগতিটা মূলত অনিশ্চয়তার প্রতিফলন, তাই এখন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাই। ইনশাআল্লাহ পরিস্থিতি পরিষ্কার হলে লেনদেন স্বাভাবিক হতে পারে।
হাহা ভাই, শেয়ার বাজারে "সতর্কতা" মানে হইলো সবাই আগের বার পুড়ে এখনো ঘা শুকায় নাই! 😂
আমিও গত কয়েক মাস ধরে মার্কেটে একটু সতর্ক থাকছি, ২০২২ সালের ধাক্কার পর থেকে শিখেছি যে এই সময় তাড়াহুড়ো করা ঠিক না।
আমার অভিজ্ঞতায় এরকম সময়ে ধৈর্য ধরে থাকাই ভালো, ২০২০ সালেও এমন দেখেছিলাম পরে বাজার ঠিক হয়ে গেছে ইনশাআল্লাহ।