বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয়তা যে কত দ্রুত বেড়েছে, সেটা সত্যিই মাশাআল্লাহ দেখার মতো। ২১ মার্চ ২০২৫ এর এই সময়ে দাঁড়িয়ে বলতে গেলে, এখন আর শুধু সিনেমাহল বা টেলিভিশনের উপর নির্ভর করে বিনোদন খুঁজতে হয় না। বনানীতে থাকি, কাজের ব্যস্ততায় বাইরে যাওয়ার সুযোগ কম, তাই বাসায় বসে রাতের খাবারের পর কোনও ভালো ওয়েব সিরিজ দেখে একটু রিফ্রেশ হওয়া আমার রোজকার অভ্যাসের অংশ হয়ে গেছে। বিশেষ করে সপ্তাহান্তে Pathao ফুডে খিচুড়ি বা বিরিয়ানি অর্ডার করে রেখে একটা ভালো সিরিজ দেখতে বসলে মনটাই ভালো হয়ে যায় ভাই।
আজকাল অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে স্থানীয় প্রযোজনা বেড়ে যাওয়াটা খুবই ইতিবাচক। আগের তুলনায় গল্প অনেক সমৃদ্ধ হচ্ছে, আর্ট ডিরেকশন ভালো হচ্ছে, অভিনেতা অভিনেত্রীরাও নিজেদের নতুনভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পাচ্ছেন। কিছুদিন আগে বান্ধবীর পরামর্শে একটা থ্রিলার ধরনের সিরিজ দেখলাম। নামটা উল্লেখ করছি না, কারণ বিজ্ঞাপনের মতো শোনাতে চাই না, তবে বলতে হবে, এর গল্পের টান আগের অনেক কনটেন্টের চেয়ে শক্তিশালী ছিল। গত মাসে একুশে বইমেলা ২০২৫ ঘুরতে গিয়েও দেখলাম অনেক তরুণ লেখক তাদের বইতে এমন গল্প লিখছেন যেগুলো সহজেই ওয়েব সিরিজে রূপ নেওয়ার মতো। মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে বইমেলার সাহিত্য ভান্ডার থেকেও নতুন সিরিজের ধারণা আসবে ইনশাআল্লাহ।
ওয়েব সিরিজ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আরেকটা বিষয় মনে পড়ে। এ বছর শাকিব খানের অন্তরাত্মা সিনেমাটা যেহেতু বছরের শুরুতে মুক্তি পেয়েছে, তাই অনেকে আবার তুলনা করতে শুরু করেছেন যে ভবিষ্যতে বড় বাজেটের সিনেমাগুলোও যদি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসে তবে কেমন হয়। যদিও সিনেমা আর ওয়েব সিরিজ আলাদা মাধ্যম, তবুও দর্শকদের রুচির পরিবর্তন স্পষ্টই বুঝা যায়। আমার মনে হয়, দুই মাধ্যমই পাশাপাশি এগোতে পারে। সিনেমাহলের আনন্দ আলাদা, আর বাসায় বসে সিরিজ দেখার আরামও আলাদা।
সবশেষে একটা কথা বলতেই হয়, আমরা যারা ঢাকায় থাকি, বিশেষ করে বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি এলাকায় যাতায়াত করি, তারা সবাইই জানি রাস্তায় ট্রাফিক কতটা ঝামেলার। এই ট্রাফিকের পরে বাসায় গিয়ে সোফায় শুয়ে মোবাইলে বা টিভিতে একটা ওয়েব সিরিজ দেখা সত্যিই মন ভালো করার মতো একটা ছোট্ট শান্তি। তবে কনটেন্ট বাছাইয়ে কিছুটা সচেতন থাকা জরুরি, কারণ সব কিছু সবার জন্য উপযোগী হয় না। আপনারা কেউ যদি সাম্প্রতিক সময়ে কোনও ভালো ওয়েব সিরিজ দেখে থাকেন, নামটা শেয়ার করলে ভালো লাগবে। ইনশাআল্লাহ সবাই মিলে ভালো কনটেন্ট নিয়ে আলোচনা করতে পারব। 😊
Top comments (5)
Amar mote shobcheye boro byapar holo local content creator ra akhon risk nite parchen, karon audience ready ache support korte.
Amar mote boro issue hocche quality control - onek web series e budget er limitation ta bujha jay, but storytelling thik thakle audience thik e respond kore.
আমার মতে এই শিফটটা হয়েছে কারণ এখন মানুষ নিজের সময়মতো কন্টেন্ট দেখতে চায়, টিভি শিডিউলের উপর নির্ভর করতে চায় না।
ভাই, এই ওয়েব সিরিজের দ্রুত জনপ্রিয়তার পেছনে মূল কারণটা আপনি কী মনে করেন, একটু বুঝিয়ে বলবেন?
আমারও একই অবস্থা ভাই, অফিস থেকে ফিরে রাতে ওয়েব সিরিজ দেখাটা এখন রুটিন হয়ে গেছে।