সম্প্রতি দেশে প্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে, আর তারই সাথে ওয়েব ডিজাইন শেখার আগ্রহও বেড়ে চলেছে। ২৬ নভেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষার্থী এবং গৃহিণী থেকেও শুরু করে চাকরিজীবী পর্যন্ত এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ওয়েব ডিজাইন শিখছেন। বাংলাদেশের ডিজিটাল উদ্যোগগুলো বেড়ে যাওয়ায় এই পেশার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বেশ আশাবাদী। আলহামদুলিল্লাহ, ইন্টারনেট সুবিধা এখন দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও সহজলভ্য হওয়ায় শেখার সুযোগ আরও বাড়ছে।
অনেকেই উদাহরণ হিসেবে বলছেন, আজকাল Facebook আর YouTube এর বিভিন্ন ফ্রি টিউটোরিয়াল থেকে HTML, CSS, JavaScript শেখা এখন অনেক সহজ। বিশেষ করে ময়মনসিংহসহ জেলা শহরগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টারও গড়ে উঠছে, যেখানে স্বল্প খরচে কোর্স করার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। কিছু শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের সাপোর্ট থাকলে বাড়িতে বসেই ল্যাপটপ বা এমনকি মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু করা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ নিয়মিত অনুশীলন করলে ছয় মাসের মধ্যেই একটি বেসিক ওয়েবসাইট বানাতে পারা যায়।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হিসেবে অনেক গৃহিণী জানিয়েছেন যে, সংসারের কাজ সামলিয়ে একটু একটু করে সময় বের করে শিখলেও ধীরে ধীরে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে একজন শিক্ষার্থী বলেন, তিনি প্রতিদিন রাতের খাবারের পর দুই ঘণ্টা করে প্র্যাকটিস করতেন, আর তিন মাসের মধ্যেই নিজের প্রথম পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট বানাতে সক্ষম হন। মাশাআল্লাহ বর্তমানে তিনি bKash এবং অন্যান্য লোকাল ব্র্যান্ডের ছোট ব্যবসার জন্য ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করে আয় করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতেই ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের কাজ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্যই এখনই যারা শুরুর দিকে আছেন তাদের নিয়মিত প্র্যাকটিস এবং নতুন প্রযুক্তি শেখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তার সাথে তাল মিলিয়ে ওয়েব ডিজাইন দক্ষতা অর্জন করলে ভালো আয়ের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, দেশে ওয়েব ডিজাইন শেখা আর বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজনীয় দক্ষতায় পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি এলে এই খাত আরও সমৃদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ, আর নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল ক্যারিয়ারে আরও বেশি সুযোগ এনে দেবে। 😊
Top comments (5)
bhai ei trend ta ki long term hobe mone hocche, naki hype matro? aro ektu detail dite parben?
Sotti kotha bhai, web design ar freelancing e ekhon onek scope ache. Inshallah amader youth ra ei sector e valo korbe.
আমার মতে ভাই, ঢাকার বাজারের বর্তমান অবস্থা দেখে ছোট পরিসরে শুরু করাই সবচেয়ে টেকসই পথ ইনশাআল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে গ্রাহকের চাহিদা দ্রুত বদলাচ্ছে, তাই ছোট ব্যবসাই দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে।
Amar mote sobcheye boro byapar holo grihinira ebar ete ashchen - era jodi skills develop korte pare tahole puro family economically benefited hobe, inshallah.
হাহা সবাই এখন ওয়েব ডিজাইনার, কিন্তু ক্লায়েন্ট পাওয়ার পর "ভাই লোগোটা একটু বড় করেন" শুনতে শুনতে চুল পাকবে!