সাম্প্রতিক সময়ে দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা আবারও জোরদার হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। বিভিন্ন সরকারি সেবা ডিজিটাল হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ এখন আগের চেয়ে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন, যা ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। তবুও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সঠিক তদারকি না থাকলে দুর্নীতি পুরোপুরি কমানো কঠিন বলে অনেকে মনে করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইটি সাপোর্ট হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আমিও প্রতিদিন বিভিন্ন দপ্তরের ডিজিটাল সেবা নিয়ে মানুষের ভোগান্তি শুনে থাকি। অনেক সময় দেখা যায়, অনলাইন সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও কিছু কর্মকর্তা এখনও পুরনো পদ্ধতিতে কাজ করতে চান, যার ফলে অযথা সময় নষ্ট হয় এবং সেখানেই অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি হয়। একবার একজন বয়স্ক মানুষ আমাকে এসে বলেছিলেন যে একটি সেবা পেতে নাকি তাকে বারবার অফিসে ঘুরে আসতে হয়েছে। বিষয়টি শুনে সত্যিই খারাপ লেগেছিল, কারণ সেবাটি অনলাইনে কয়েক মিনিটেই সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
প্রশাসন আজকাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছে, যা আলহামদুলিল্লাহ ভালো উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল রেকর্ড রাখা এবং সেবা প্রদানের প্রতিটি ধাপ স্বয়ংক্রিয় হলে দুর্নীতি করার সুযোগ কমে যাবে। উদাহরণ হিসেবে অনেক বিভাগে এখন অনলাইন ভেরিফিকেশন, ডিজিটাল আবেদন এবং ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে মানুষ সরাসরি কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করেও সহজে কাজ সম্পন্ন করতে পারছে।
তবে শুধু প্রযুক্তি নয়, সর্বস্তরের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তনও জরুরি। পরিবার থেকে শুরু করে বিদ্যালয় পর্যন্ত সততা ও দায়িত্বশীলতার শিক্ষা দিলে ভবিষ্যতের প্রজন্ম বেশি নৈতিক হবে ইনশাআল্লাহ। সাধারণ মানুষকেও বুঝতে হবে যে ছোটখাটো সুবিধা নেয়ার নাম করে ঘুষ দেয়া বা নেয়া সমাজের ব্যাপক ক্ষতি করে। দুর্নীতিবিরোধী প্রচারে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সবশেষে বলা যায়, দুর্নীতি প্রতিরোধ শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, আমাদের সবার। আমরা যদি নিজের অবস্থান থেকে সঠিক পথে চলি এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি, তাহলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ। উন্নত এবং স্বচ্ছ বাংলাদেশের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া বিকল্প নেই।
Top comments (5)
আমার মতে দুর্নীতি কমাতে প্রযুক্তির পাশাপাশি জনগণের মানসিকতা ও জবাবদিহির সংস্কৃতি তৈরি করাও জরুরি, না হলে উদ্যোগগুলো টেকসই হবে না ইনশাআল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে স্বচ্ছতা বাড়লে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও অনেক কমে যায়।
প্রযুক্তি একটা টুল মাত্র, আসল পরিবর্তন আনতে হলে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে সবার আগে।
bhai ei notun durniti protirodh initiative gula real life e koto ta kaj korbe bole mone koren, kichu example dite parben?
Amio dekhechhi bhai, age passport korar jonno 3-4 bar office e jaite hoto, ekhon online e apply kore ekbar giyei hoye jay - asha kori baki sob service o emon hobe inshallah.
ভাই, এসব নতুন উদ্যোগ বাস্তবে কতটা কাজে দেবে বলে আপনি মনে করেন, একটু বুঝিয়ে বলবেন?