আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপুরা। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই কিভাবে আমি মিরপুরে বসে ছোট্ট একটা ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করলাম। আলহামদুলিল্লাহ, প্রায় দুই বছর হয়ে গেলো এই লাইনে আছি। প্রথমে অনেক ভুল করেছি, অনেক টাকা লস হয়েছে, কিন্তু ধীরে ধীরে শিখেছি। আজকে সেই শেখা থেকেই কিছু কথা বলবো যেগুলো নতুন উদ্যোক্তাদের কাজে আসতে পারে।
প্রথম কথা হলো প্রোডাক্ট সিলেকশন। অনেকে দেখে অন্যরা যা বিক্রি করছে সেটাই শুরু করে দেয়। আমিও এই ভুল করেছিলাম। সবাই যখন মোবাইল একসেসরিজ বিক্রি করছে, আমিও ঝাঁপিয়ে পড়লাম। কিন্তু কম্পিটিশন এতো বেশি যে প্রফিট মার্জিন প্রায় শূন্যের কাছে। পরে বুঝলাম নিশ প্রোডাক্ট খুঁজতে হবে। এমন কিছু যার চাহিদা আছে কিন্তু সাপ্লাই কম। Daraz এবং Facebook Marketplace এ রিসার্চ করুন কোন প্রোডাক্টে কম সেলার কিন্তু বেশি সার্চ হচ্ছে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পেমেন্ট সিস্টেম। বাংলাদেশে bKash এবং Nagad ছাড়া ই-কমার্স চলেই না। আমি দেখেছি যেসব কাস্টমার ক্যাশ অন ডেলিভারি নেয় তাদের রিটার্ন রেট অনেক বেশি। তাই আমি এখন এডভান্স পেমেন্টে ছোট ডিসকাউন্ট দিই। এতে সিরিয়াস বায়ার পাওয়া যায় এবং ফেক অর্ডার কমে যায়। Pathao বা Steadfast এর মতো কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করুন যাদের ট্র্যাকিং সিস্টেম ভালো।
তৃতীয়ত, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। Facebook Page এবং Instagram একদম ফ্রি মার্কেটিং টুল। কিন্তু শুধু প্রোডাক্ট পোস্ট করলেই হবে না। আমি প্রতিদিন রিলেটেড কনটেন্ট দিই, কাস্টমার রিভিউ শেয়ার করি, লাইভে আসি। এতে অর্গানিক রিচ বাড়ে। পেইড এড দেওয়ার আগে অবশ্যই টার্গেট অডিয়েন্স ঠিক করুন, নাহলে টাকা পানিতে যাবে।
শেষ কথা হলো ধৈর্য রাখুন ভাই। রাতারাতি কেউ সফল হয় না। প্রথম ছয় মাস আমার প্রায় কোনো সেল হয়নি। হাল ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু লেগে থাকলাম, কাস্টমার সার্ভিসে ফোকাস করলাম। একজন সন্তুষ্ট কাস্টমার আরো পাঁচজন নিয়ে আসে। ইনশাআল্লাহ আপনারাও পারবেন। কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন। 😊
Top comments (3)
ভাই আজকে ঢাকার আবহাওয়া কেমন? প্রবাসে বসে মাঝে মাঝে দেশের কথা খুব মনে পড়ে।
ভাই, শুরুতে আপনি কোন ধরণের প্রোডাক্টে ফোকাস করেছিলেন একটু বলবেন? প্রবাসে বসেও কি একইভাবে শুরু করা সম্ভব ইনশাআল্লাহ?
দুই বছরে কত টাকা কামাইলেন সেইটা বলেন না কেন? এই টিপস-টুপস দিয়া মানুষরে ভুল পথে নিয়া যাইতেছেন, বেশিরভাগ ই-কমার্স তো ছয় মাসেই বন্ধ হইয়া যায়।