Banglanet

আমাদের পরিবেশের বদলে যাওয়া চিত্র এবং সচেতনতার প্রয়োজন

বরিশালে আমি ছোটবেলা থেকেই নদী আর সবুজের মাঝে বড় হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এখনকার দিনগুলোতে, বিশেষ করে গত কয়েক বছরে, আশেপাশের পরিবেশে যে পরিবর্তনগুলো চোখে পড়ে তা সত্যিই ভাবিয়ে তোলে। ৯ মে ২০২৫ এর এই সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে পরিবেশ নিয়ে নতুন করে ভাবা খুব জরুরি। গরম যেন আগের তুলনায় আরও তীব্র লাগে, আর বর্ষায় পানির অবস্থাও অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আমাদের এই অঞ্চলে নদীর পানি কমে যাওয়া আর হঠাৎ বন্যার ঝুঁকি দুটোই একসাথে দেখা দিচ্ছে।

নতুন মা হিসেবে আমার জীবনে এখন অনেক কিছুই যেন পরিবেশের সঙ্গে আরও বেশি জড়িয়ে গেছে। আমার বাচ্চাকে নিয়ে বাইরে যেতে হলে তাপমাত্রা আর বাতাসের মান নিয়ে ভাবতেই হয়। ধুলোবালির সমস্যা এখন অনেক বেড়েছে। মিরপুর বা গুলশানের কথা শুনছি, সেখানেও একই সমস্যা। ঢাকা শহরে থাকাদের তো প্রতিদিনই দূষণের সঙ্গে যুঝতে হয়। আমি নিজে মাঝে মাঝে ঢাকা গেলে মাস্ক ছাড়া বের হতেও চাই না। মনে হয়, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্যই এখন থেকে পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। ইনশাআল্লাহ আমরা চাইলে পারি এই পরিবর্তন আনতে।

বিজ্ঞানী আর গবেষকদের লেখা পড়লে বোঝা যায়, পরিবেশগত ভারসাম্য আর জলবায়ুর পরিবর্তন খুব ধীরে ধীরে হলেও আমাদের জীবনযাত্রায় সরাসরি প্রভাব ফেলছে। শহর থেকে গ্রামের দিকে সবখানেই এখন আর আগের মতো গাছপালা দেখা যায় না। বরিশালে আগের মতো শীত অনুভব করি না, আর গ্রীষ্মে আর্দ্রতা এত বেশি থাকে যে মনে হয় শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় সহজেই। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় এটার কারণ আমাদেরই তৈরি দূষণ আর অযত্ন। বহু বছর ধরে ইলেকট্রনিক বর্জ্য, প্লাস্টিক ব্যবহার, বনভূমি কমে যাওয়া সব মিলেই পরিবেশের উপর চাপ তৈরি করেছে।

অনেকেই এখন ঘরে ঘরে ছোট করে হলেও পরিবেশবান্ধব অভ্যাস তৈরি করছেন, এটা সত্যিই ভালো লাগার বিষয় মাশাআল্লাহ। কেউ কম প্লাস্টিক ব্যবহার করছেন, কেউ ঘরে গাছ লাগাচ্ছেন, কেউ বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ শুরু করেছেন। আমিও সম্প্রতি বারান্দায় কয়েকটা ফুল আর সবজির গাছ লাগিয়েছি। মনে হয় ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো মিলেই ভবিষ্যতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। বাচ্চাদেরও ছোট থেকেই প্রকৃতির প্রতি দায়িত্ববোধ শেখানো দরকার।

শেষ কথা হল, পরিবেশ নিয়ে আলোচনা এখন আর শুধু বিজ্ঞানীদের বিষয় নয়। আমাদের প্রতিদিনের সিদ্ধান্ত, আমাদের জীবনধারা আর সচেতন প্রচেষ্টাই পরিবেশকে বাঁচাতে পারে। ইনশাআল্লাহ যদি আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি বাসযোগ্য পৃথিবী উপহার দিতে পারব। 🤍🌱

Top comments (5)

Collapse
 
jannathassan profile image
জান্নাত হাসান

যাই হোক, ভাই বারিশালের কথা শুনে হঠাৎ কুমিল্লার বর্ষার খিচুড়ি আর ইলিশ ভাজার কথা মনে পড়ে গেল মাশাআল্লাহ। আবহাওয়া যাই হোক, ভালো খানা খেলে মনটা ফ্রেশ হয়।

Collapse
 
mahijachowdhury profile image
মাহিয়া চৌধুরী

ভাই, আমার অভিজ্ঞতায় গরম আর দূষণ দুইটাই বাড়ছে, তাই স্থানীয়ভাবে গাছ লাগানো আর নদীর পাশে ময়লা ফেলা বন্ধে সবাইকে সচেতন করাই সবচেয়ে জরুরি। ইনশাআল্লাহ ছোট উদ্যোগগুলো মিলেই বড় পরিবর্তন আনবে।

Collapse
 
ppi_450 profile image
Ppi Hasan

আপু বরিশালের গরমের কথা বলছেন, আমি প্রবাসে থেকেও এবার দেশে ফোন করলে মা বলেন AC ছাড়া ঘুম নাই - আমার তো মনে হয় নদীগুলোও শুকায়ে এখন মাছের বদলে ধুলা পাওয়া যায়! 😅

Collapse
 
irphan_424 profile image
Irphan Parbheen

ভাই সচেতনতা সচেতনতা করে লাভ কী, যারা কারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলছে তাদের তো কেউ ধরে না, আমরা সাধারণ মানুষ গলা ফাটাই আর ওরা টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করে ফেলে।

Collapse
 
real_irphan profile image
Irphan Sarkar

মামা, খুব সুন্দরভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা তুলে ধরেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে পরিবেশ রক্ষায় আরও সচেতন হবো।