ধানমন্ডিতে আমাদের ছোট্ট বাসায় ইসলামী জীবনযাপন শুরু হয় খুব ধীরে ধীরে। আগে অনেক কিছুই সময়মতো হতো না, নামাজও মাঝে মাঝে বাদ পড়ে যেত। একদিন আমার ছেলে স্কুল থেকে এসে বলল যে ইসলামি স্টাডিজ ক্লাসে শিক্ষক বলেছে নিয়মিত সালাতে ঘরের বরকত বাড়ে। কথাটা শুনে মনটা নরম হয়ে গেল, আলহামদুলিল্লাহ। সেই দিন থেকেই নিজেকে একটু একটু করে বদলানোর চেষ্টা শুরু করি।
সকালে ফজরের পর চা বানাতে বানাতে মনে হতো দিনটা যেন বেশি শান্তিতে শুরু হচ্ছে। কুরআন তিলাওয়াতের কয়েকটা আয়াত পড়লে মনে অদ্ভুত স্বস্তি আসে, মাশাআল্লাহ। বাজার করার সময়ও চেষ্টা করি হালাল-হালাল ব্যাপারগুলো খেয়াল রাখতে। প্রতিবেশী চাচাদের সাথে salam বিনিময় করলে মনটা আরও ভালো লাগে। ইনশাআল্লাহ এভাবেই চলতে চাই।
ধর্মের পথে হাঁটতে গিয়ে বুঝলাম এটি কঠিন কিছু নয়, বরং ধীরে ধীরে হৃদয়ের ভিতর আলো জ্বালিয়ে দেয়। বাচ্চাদেরও বলি যে ইসলাম শুধু রীতিনীতি নয়, বরং সুন্দর আচরণ, ধৈর্য আর দয়ার শিক্ষা। বাসায় ছোটখাটো মিলাদ হলে সবাই মিলে দোয়া করি আর আল্লাহর কাছে রহমত চাই। জীবনটা যত ব্যস্তই হোক, ইসলামী জীবনযাপন আমাকে সবসময় স্থির রাখে, আলহামদুলিল্লাহ।
Top comments (5)
আমার অভিজ্ঞতায় ছোট ছোট আমল নিয়মিত করলে ঘরে সত্যিই এক ধরনের শান্তি নামে, আলহামদুলিল্লাহ। আপনার গল্পটা পড়ে নিজেদের শুরুর দিনের কথা মনে পড়ে গেল, ইনশাআল্লাহ এগুলো আরও বরকত বাড়াবে।
আমার মতে ছোট্ট পরিবর্তনগুলোই আসলে ঘরের পরিবেশে সবচেয়ে বড় বরকত আনে, আলহামদুলিল্লাহ। এটা ভাবার বিষয় যে বাচ্চাদের একটা কথা কত সুন্দরভাবে পুরো পরিবারকে ভালোর পথে টেনে নিতে পারে।
ভাই, সালাতের এই পরিবর্তনটা আপনার ঘরের পরিবেশে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে একটু বিস্তারিত বলবেন? ইনশাআল্লাহ জানতে ভালো লাগবে।
আমার অভিজ্ঞতায় ঘরে সবাই মিলেই নামাজ ঠিকভাবে শুরু করলে সত্যিই একটা শান্ত পরিবেশ তৈরি হয়, আলহামদুলিল্লাহ। আপনার লেখাটা পড়ে নিজের পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল ভাই।
মামা, ছেলের কথায় এভাবে লাইফস্টাইল আপডেট করা দেখলে মজা লাগে, আলহামদুলিল্লাহ। হাহা, ঘরের বরকতও যেন এবার স্পিডে আসে ইনশাআল্লাহ!