Banglanet

Tahmid Akter
Tahmid Akter

Posted on

ঢালিউডে নতুন উচ্ছ্বাস ও পরিবর্তনের ধারায় দর্শকের আগ্রহ বাড়ছে

ঢালিউডে সাম্প্রতিক সময়ে এক ধরনের ইতিবাচক উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে, যা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে নতুন করে আশাবাদী করে তুলেছে। নির্মাতারা জানাচ্ছেন, আজকাল বড় বাজেটের পাশাপাশি মাঝারি বাজেটের মানসম্মত ছবির সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। দর্শকের রুচি বদলানোর কারণে গল্পভিত্তিক সিনেমার চাহিদা বেড়েছে, আর এই প্রবণতা ঢালিউডের জন্য আলহামদুলিল্লাহ বেশ ইতিবাচক। বিশেষ করে ঢাকার গুলশান, বনানী কিংবা ধানমন্ডির হলগুলোতে সপ্তাহান্তে ভিড় বাড়তে দেখা যায়, যা শিল্পের পুনরুজ্জীবনের ইঙ্গিত দেয়।

এখনকার নির্মাতারা প্রযুক্তির দিক থেকেও আরও সচেতন হচ্ছেন। উন্নত ক্যামেরা, সাউন্ড ডিজাইন, পোস্ট প্রোডাকশন সফটওয়্যার এবং আন্তর্জাতিক মানের কালার গ্রেডিং ব্যবহারের ফলে সিনেমার ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। ইউটিউব ও বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ট্রেলার প্রকাশের মাধ্যমেও সিনেমাগুলোর আগাম আলোচনার পরিমাণ বেড়েছে। আমি নিজেও সম্প্রতি বনানীর একটি সিনেমা হলে এক নতুন ঢালিউড ছবি দেখলাম, এবং সত্যি বলতে ভাই, ভিজ্যুয়াল মান দেখে মাশাআল্লাহ বেশ চমকে গিয়েছিলাম।

দর্শকদের আচরণেও একটা পরিবর্তন চোখে পড়ছে। আগে অনেকেই হলে যাওয়া থেকে বিরত থাকতেন, কিন্তু এখন পরিবার নিয়ে ছবি দেখার প্রবণতা বাড়ছে। কিছু হল মালিক জানাচ্ছেন যে, আজকাল টিকিট বিক্রি আগের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তিদায়ক অবস্থায় এসেছে। বিশেষ করে বাঙালির প্রিয় সপ্তাহান্তের আড্ডা, ফুচকা খাওয়া আর সিনেমা দেখা এই তিন মিলিয়ে পুরো একটা বিনোদনের প্যাকেজ তৈরি হয়েছে। ইনশাআল্লাহ এই অভ্যাস স্থায়ী হলে ঢালিউড আবারও চালুকলের মতো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

শিল্পীরা নিজেরাও আজকাল তাদের কাজ নিয়ে আরও সক্রিয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে তারা নতুন প্রজন্মের দর্শকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। আপডেট, শুটিং লোকেশন, প্রস্তুতি পর্ব, এমনকি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তারা ভক্তদের আরও কাছে আসছেন। আমি দেখি, বনানীর আমাদের মহল্লার বেশিরভাগ তরুণ এখন স্থানীয় তারকাদের আপডেট নিয়েই ব্যস্ত থাকে, এবং এটাই প্রমাণ করে যে ঢালিউড তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছে।

সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনা করলে বলা যায়, ঢালিউড আজ এক রকম পুনর্জাগরণের সময় পার করছে। গল্প, প্রযুক্তি, বাজারব্যবস্থা এবং দর্শকের প্রত্যাশা সব মিলিয়ে এক নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। যদি এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, তাহলে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের সিনেমা আরও উন্নত ও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে। শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সবাইই আশা করছেন, ইনশাআল্লাহ ঢালিউড আবারও দেশের প্রধান বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। 🟢

Top comments (7)

Collapse
 
rumana_choudhury_bd profile image
রুমানা চৌধুরী

মনে পড়ে গেল আমার কথা, কয়েক বছর আগে পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে হলেতে গিয়ে একটা গল্পভিত্তিক ছবি দেখে মাশাআল্লাহ এত ভালো লেগেছিল যে তখনই বুঝেছিলাম দর্শকের রুচি বদলাচ্ছে। এখন আবার সেই উচ্ছ্বাস ফিরতে দেখে আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো লাগছে ভাই।

Collapse
 
russelldas88 profile image
রাসেল দাস

নতুন পরিচালকদের জন্য এই ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকার সুযোগ কতটা আছে এখন?

Collapse
 
real_mahija profile image
Mahija Saha

গল্পভিত্তিক সিনেমার কথা বলছেন, কিন্তু গ্রামের মানুষের জীবন নিয়ে কি এখনো ছবি হচ্ছে নাকি শুধু শহরের গল্পই দেখাবে?

Collapse
 
nuha_215 profile image
Nuha Islam

এই পরিবর্তনটা কি টেকসই হবে নাকি আবার আগের মতো হয়ে যাবে বলে মনে করেন?

Collapse
 
rakib_parbheen profile image
Rakib Parbheen

ভাই, এই পরিবর্তনটা কি সত্যিই টেকসই হবে বলে মনে করেন, নাকি একটু হাইপের মতো লাগছে? দর্শকের রুচির এই পরিবর্তন কতটা স্থায়ী হতে পারে বলে আপনি ভাবছেন?

Collapse
 
nusratraj profile image
নুসরাত রায়

যাই হোক, BCS প্রিলিমিনারির রেজাল্ট কবে দিবে কেউ জানেন? অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করতে করতে হাঁপিয়ে গেলাম।

Collapse
 
mahmud_hossein profile image
Mahmud Hossein

মনে পড়ে গেল আমার কথা, ছোটবেলায় নাসিরাবাদ সিনেমা হলে বাবার সঙ্গে ঈদের ছবি দেখতে যেতাম ভাই, এখন আবার ঢালিউডে এই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখে আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে।