আসসালামু আলাইকুম ভাইয়েরা, কেমন আছেন সবাই? আজকে একটু স্থানীয় ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করতে চাই। ময়মনসিংহে আমাদের এলাকায় ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে, এটা দেখে সত্যিই ভালো লাগে। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি কিভাবে গলির ছেলেরা টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু করে, তারপর ধীরে ধীরে লেদার বলে যায়।
আমাদের এলাকায় বেশ কয়েকটা ক্রিকেট ক্লাব আছে যারা নিয়মিত টুর্নামেন্ট করে। এই ক্লাবগুলোতে তরুণ প্রজন্মের ছেলেরা প্র্যাকটিস করে এবং অনেকেই বেশ ভালো খেলছে। গত রমজানে একটা নাইট টুর্নামেন্ট হয়েছিল, সেখানে দেখলাম কিছু ছেলের বোলিং সত্যিই চমৎকার। ইনশাআল্লাহ এদের মধ্যে থেকে কেউ না কেউ বড় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পাবে। তবে সমস্যা হলো ভালো কোচিং এর অভাব এবং মাঠের সংকট, এটা আমাদের মতো জেলা শহরে বড় সমস্যা।
আমি নিজে সপ্তাহে দুইদিন বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলি। বয়স হয়ে গেছে তাই আগের মতো পারি না, কিন্তু তবুও ছাড়তে পারি না এই খেলা। আমাদের টিমে সবাই চাকরিজীবী, শুক্র শনিবার সকালে মাঠে যাই। এই খেলার মাধ্যমে শরীরচর্চাও হয় আবার পুরনো বন্ধুদের সাথে আড্ডাও হয়। খেলা শেষে চা আর পরোটা খেতে খেতে ম্যাচের বিশ্লেষণ করি, এটাই আসল মজা।
স্থানীয় পর্যায়ে ক্রিকেটের উন্নতির জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। ঢাকার বাইরে ভালো একাডেমি নেই বললেই চলে। অনেক প্রতিভাবান ছেলে শুধু সুযোগের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে। যদি প্রতিটা জেলায় একটা করে সরকারি ক্রিকেট একাডেমি থাকতো তাহলে অনেক ভালো হতো।
আপনাদের এলাকায় ক্রিকেটের অবস্থা কেমন? কেউ কি নিয়মিত খেলেন? জানাবেন ভাই।
Top comments (5)
হাহা ভাই, গলির ক্রিকেটে তো আম্পায়ার মানেই বাড়ির মালিক যে জানালা ভাঙলে আউট দিবে! 😂
একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই, ময়মনসিংহের ক্রিকেট সত্যিই অনেক এগিয়ে যাচ্ছে মাশাআল্লাহ।
হাহা ভাই, গলির ক্রিকেটে যে ছক্কা মারলে বল হারায় সেই টেনশন টেস্ট ম্যাচেও নাই! 😂
হাহা মামা, আমাদের এলাকাতেও টেনিস বল দেখলেই সবাই নিজেদের শাকিব আল হাসান ভাবে, ইনশাআল্লাহ একদিন বিশ্বকাপে গলি দলের এন্ট্রি হবে।
ভাই, দূরে থাকলে মানে লং ডিস্ট্যান্সে এই টিপসগুলো কিভাবে কাজে লাগানো যায়?