বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে তরুণদের মধ্যে স্টার্টআপ ব্যবসার প্রতি আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে। রাজশাহীর তরুণরা বিশেষভাবে প্রযুক্তি নির্ভর ছোটখাটো উদ্যোগ থেকে শুরু করে কৃষিভিত্তিক নতুন মডেল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের আইডিয়া নিয়ে পরীক্ষা করছেন। আলহামদুলিল্লাহ, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ বাড়ায় এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যেমন bKash ও Nagad সহজলভ্য হওয়ায় নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বাজারে প্রবেশ এখন অনেক সহজ। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট আকারে অনলাইন ব্যবসা শুরু করে আত্মবিশ্বাস অর্জন করছেন।
আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, রাজশাহীতে কৃষি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা স্টার্টআপগুলো বেশ সম্ভাবনাময়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের চাচা ও মামাদের সাথে কথা বললে বোঝা যায়, তারা আধুনিক কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণে বড় ধরনের সহায়তা চান। কিছু তরুণ এমন অ্যাপ তৈরি করার চেষ্টা করছেন, যেখানে কৃষকরা সরাসরি শহরের ক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ, এতে কৃষকেরা ন্যায্য দাম পাবেন এবং ভোক্তারাও তাজা পণ্য ঘরে বসেই অর্ডার করতে পারবেন। এই ধরণের উদ্যোগের জন্য সরকার ও স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকেও প্রশিক্ষণ সহায়তা পাওয়া যায়।
অন্যদিকে আইটি সেবা বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত স্টার্টআপগুলোও দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে। বিশেষ করে Facebook বা YouTube মার্কেটিং, ছোট ব্যবসার জন্য সফটওয়্যার তৈরি, ডাটা অ্যানালাইসিস সার্ভিস ইত্যাদি ক্ষেত্রে তরুণরা নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করছেন। রাজশাহীর অনেক শিক্ষার্থী Pathao বা Daraz এর ডেলিভারি সিস্টেমকে অনুসরণ করে নিজস্ব ছোট লজিস্টিক সার্ভিস গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্য ধরে এগোতে পারলে এসব ছোট উদ্যোগ ভবিষ্যতে বড় পরিসরে রূপ নিতে পারে।
সবশেষে, স্টার্টআপ শুরু করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বাজার বুঝে পরিকল্পনা তৈরি করা। অনেকেই তাড়াহুড়া করে ব্যবসা শুরু করেন, কিন্তু খরচ, সরবরাহ, প্রতিযোগিতা এবং গ্রাহকদের চাহিদা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় মাঝপথে সমস্যায় পড়েন। তাই যেকোনো আইডিয়া বাস্তবায়নের আগে ছোট আকারে পরীক্ষা করে দেখা, অভিজ্ঞদের মতামত নেয়া এবং প্রয়োজন হলে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা জরুরি। মাশাআল্লাহ, দেশের বর্তমান পরিবেশ তরুণদের জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করেছে, শুধু সঠিক পথে পরিশ্রম করতে পারলেই সফলতা অর্জন সম্ভব।
Top comments (4)
ভাই, আগ্রহ থাকলেই তো হবে না, ফান্ডিং আর সাপোর্ট সিস্টেম ছাড়া বেশিরভাগ স্টার্টআপ দুই বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।
স্টার্টআপ স্টার্টআপ করে লাভ নাই, শেষে সবাই চাকরির পিছনেই দৌড়াবে।
মাশাআল্লাহ, তরুণদের এই উদ্যম দেখে সত্যিই ভালো লাগলো! ইনশাআল্লাহ আমাদের ছেলেমেয়েরা অনেক দূর যাবে।
আমিও বরিশাল থেকে একটা ছোট অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস শুরু করেছিলাম গত বছর, ইনশাআল্লাহ এবার আরও বড় করার প্ল্যান আছে।