Banglanet

Sourav Ahmad
Sourav Ahmad

Posted on

সঠিক ডায়েট প্ল্যান নিয়ে নতুন আগ্রহ: স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে

সাম্প্রতিক সময়ে ডায়েট প্ল্যান নিয়ে মানুষের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো বাড়ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন জেলায় এখন অনেকেই নিজের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আরও সচেতন হওয়ার চেষ্টা করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি সঠিক ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করলে শরীর সুস্থ থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং দৈনন্দিন কাজের শক্তিও বজায় থাকে। বিশেষ করে শহুরে জীবনে ব্যস্ততার কারণে অনেকেই সহজে অনুসরণ করা যায় এমন ডায়েটের দিকে ঝুঁকছেন।

আমি নিজেও একজন এনজিও কর্মী হিসেবে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি, শক্তি ধরে রাখার জন্য সুষম খাদ্যের বিকল্প নেই। আগে অনিয়মিত খাওয়া, ফাস্টফুড আর অল্প পানি খাওয়ার কারণে প্রায়ই ক্লান্ত লাগত। পরে ধানমন্ডিতে এক পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলার পর নিজের খাদ্য পরিকল্পনা বদলাই। এখন সকালে ওটস বা খিচুড়ির মতো হালকা খাবার, দুপুরে পরিমিত ভাত বা রুটি সঙ্গে শাকসবজি আর প্রোটিন, আর রাতে হালকা ডিনার মেনে চলছি। আলহামদুলিল্লাহ, এতে কাজের মান অনেক উন্নত হয়েছে এবং মনোযোগও বেড়েছে।

ঢাকার অনেকেই এখন ঘরে বসেই ডায়েট চার্ট তৈরি করতে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করছেন। কেউ YouTube দেখে নতুন রেসিপি শিখছেন, কেউ আবার Facebook গ্রুপে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। অনেকেই বলছেন, ডায়েট প্ল্যান মানে শুধু ওজন কমানো নয়, বরং নিজের শরীরের প্রয়োজন বুঝে খাবার নির্বাচন করা। উদাহরণ হিসেবে, যারা প্রতিদিন বেশি শারীরিক পরিশ্রম করেন তারা সাধারণত বেশি ক্যালরি প্রয়োজন করেন, আর যারা অফিসে বসে কাজ করেন তাদের কম ক্যালরি ও বেশি ফাইবারভিত্তিক খাবার দরকার হয়। এসব নিয়ে সচেতনতা বেড়ে যাওয়া অবশ্যই ইতিবাচক।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়েট প্ল্যান নেওয়ার আগে নিজের শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ। কারও ডায়াবেটিস থাকতে পারে, কারও উচ্চ রক্তচাপ, আবার কারও পেটের সমস্যা। এসব বিবেচনা না করলে উল্টো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। অনেকেই অতি দ্রুত ওজন কমানোর পেছনে ছুটে ভুল করেন। পুষ্টিবিদরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবর্তন ধীরে ধীরে করলে তবেই তা স্থায়ী হয়। ইনশাআল্লাহ, সঠিক পরিকল্পনা ও নিয়মিত অভ্যাসের মাধ্যমে যেকেউ নিজের জীবনধারা আরও সুস্থ করে তুলতে পারেন।

সবশেষে, ডায়েট প্ল্যান নিয়ে যে সচেতনতা বাড়ছে তা সমাজের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো লক্ষণ। মানুষ যত বেশি নিজের শরীর নিয়ে সচেতন হবে, ততই রোগের ঝুঁকি কমবে। কাজের ব্যস্ততা যতই থাকুক, প্রতিদিন সঠিক খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং একটু হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস গড়ে তুললে সুস্থ থাকা অনেক সহজ হয়। মিরপুর, গুলশান বা পুরান ঢাকার রাস্তা ঘুরে এখন অনেকেই বলেন, সুস্থ থাকার জন্য ডায়েটই হচ্ছে প্রথম শর্ত। মাশাআল্লাহ, এই পরিবর্তন ভবিষ্যতে আরও ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলে আশা করা যায়।

Top comments (0)