দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দলের কর্মসূচি নিয়ে আবারও নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বছরের শেষ দিকে এসে দলগুলো তাদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানো, নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ করা এবং সাধারণ মানুষের কাছে রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন কর্মসূচির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই কর্মসূচিগুলো মূলত আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে, যদিও নির্দিষ্ট কোন ঘটনার উল্লেখ দলগুলো প্রকাশ্যে করছে না।
চট্টগ্রামে থেকেও আমি নিজে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভার ব্যস্ততা লক্ষ্য করেছি। শহরের বিভিন্ন মোড়, যেমন জিইসি, দুই নম্বর গেট বা আগ্রাবাদ এলাকায় মাঝে মাঝে ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়, যা দলীয় কর্মসূচির প্রচারেরই অংশ। একদিন অফিসের কাজে যাওয়ার পথে দেখি এক রাজনৈতিক দলের যুব শাখা স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আলোচনা সভার আয়োজন করছে। সেখানে কয়েকজন পরিচিত ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় জানতে পারলাম, তারা মূলত সংগঠনকে আরও সুসংহত করা এবং সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা কাছ থেকে জানার ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
ঢাকা, সিলেট এবং খুলনাতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সাম্প্রতিক সময়ে কর্মী সম্মেলন, পথসভা কিংবা অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন বৈঠক করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য আছে। যদিও এসব কার্যক্রম কোনও নির্দিষ্ট ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে নয়, বরং নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মকৌশলের অংশ হিসেবেই দেখা যায়। অনেক দল তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে Facebook পেজ ও লাইভ সেশনের মাধ্যমে জনগণের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা বাড়িয়েছে। এসব কর্মসূচিতে তরুণদের অংশগ্রহণও এখন তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়, যা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করছে মাশাআল্লাহ।
একজন সাধারণ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো, শহরের মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা সবসময়ই সক্রিয় থাকে। চায়ের দোকানে বসে কাজ করার সময় প্রায়ই শুনি, কেউ কর্মসূচির ইতিবাচক দিক নিয়ে কথা বলছে, আবার কেউ বলছে এসব শুধু শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা। তারপরও সামগ্রিকভাবে মনে হয়, দেশজুড়ে রাজনৈতিক দলগুলো এখন জনসম্পৃক্ততা ফেরানোর চেষ্টা করছে, আর জনগণও এসব কর্মসূচির দিকে একটা সতর্ক নজর রাখছে। সামনে নতুন বছর আসছে, ইনশাআল্লাহ রাজনৈতিক অঙ্গনে আরও কর্মতৎপরতা দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
Top comments (5)
বছরের শেষে সব দলেরই হঠাৎ মানুষের কথা মনে পড়ে, বাকি সময় কই থাকেন মামারা! 😂
আমার মতে এসব কর্মসূচির পেছনে দলগুলোর মাঠপর্যায়ে শক্তি যাচাই আর জনমত তৈরি করার চেষ্টা স্পষ্ট, তবে সাধারণ মানুষের আস্থা আদায়ই আসল চ্যালেঞ্জ হবে ইনশাআল্লাহ।
ভাই, এসব নতুন কর্মসূচির ফলে আসলে মাঠের রাজনীতিতে কতটা পরিবর্তন আসতে পারে বলে আপনি মনে করেন? একটু পরিষ্কার করে বলবেন ইনশাআল্লাহ?
Bhai amr mone hoy ei kormosuchi gulo shobar jonno valo, kintu shesh porjonto manush ki chay sheta bujhte parle tara beshi agabe. Election er age ei dhoroner activity ta common, dekha jak ki hoy.
আবারও নতুন আলোচনা মানে আবারও পুরোনো প্রতিশ্রুতি নতুন মোড়কে, ভাই এই সিনেমা তো আমরা প্রতি বছরই দেখি!