আসসালামু আলাইকুম ভাইয়েরা। আজকে একটু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। বনানীতে ব্যবসা করি, প্রতিদিন হাজারো কাজের চাপ থাকে। একসময় মনে হতো ইসলামী জীবনযাপন আর ব্যবসা একসাথে চালানো কঠিন। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, ধীরে ধীরে বুঝলাম যে আসলে ইসলাম আমাদের জীবনকে সহজ করে দেয়, জটিল করে না।
প্রথম যে জিনিসটা আমার জীবনে পরিবর্তন এনেছে সেটা হলো ফজরের নামাজের পর একটু সময় নিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করা। মাত্র দশ থেকে পনেরো মিনিট। এটা করার পর সারাদিন একটা অদ্ভুত প্রশান্তি কাজ করে। অফিসে যখন অনেক pressure থাকে, তখনও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারি। আরেকটা জিনিস শিখেছি, সেটা হলো হালাল উপার্জনের গুরুত্ব। ব্যবসায় অনেক সময় shortcut নেওয়ার সুযোগ আসে, কিন্তু ইনশাআল্লাহ সেদিকে যাই না। বরকত তো আল্লাহর হাতে।
দ্বিতীয়ত, পরিবারের সাথে সময় কাটানোটাও ইবাদতের অংশ। শুক্রবার জুমার নামাজের পর পরিবার নিয়ে একসাথে খাওয়াদাওয়া করি। মাঝে মাঝে ধানমন্ডি বা গুলশানে ঘুরতে যাই। বাচ্চাদের সাথে ইসলামের গল্প বলি, নবীদের জীবনী শোনাই। এতে তাদের মধ্যেও দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হচ্ছে মাশাআল্লাহ।
তৃতীয়ত, সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা বলি। প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট অংশ সাদাকা হিসেবে রাখি। bKash দিয়ে অনেক সহজে এখন দান করা যায়। আমাদের অফিসের কাছেই কিছু দরিদ্র পরিবার আছে, তাদের মাঝে মাঝে সাহায্য করি। এটা শুধু তাদের জন্য না, নিজের মনের শান্তির জন্যও অনেক জরুরি।
শেষ কথা বলি ভাই, ইসলামী জীবনযাপন মানে শুধু নামাজ রোজা না। এটা একটা complete lifestyle। সততা, বিনয়, ধৈর্য, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব, সমাজের প্রতি কর্তব্য সবকিছু মিলিয়েই ইসলাম। ছোট ছোট পদক্ষেপ দিয়ে শুরু করুন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ সাহায্য করবেন। কেউ প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন। 🤲
Top comments (3)
ভাই, একটু অফটপিক হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বনানীতে এখন পার্কিং সিচুয়েশন কেমন? গত সপ্তাহে গিয়ে অনেক হয়রানি হলাম।
মনে পড়ে গেল আমার কথা, মামা। গুলশানে ব্যবসা শুরু করার সময় আমিও ভাবতাম ইসলাম মেনে চলা কঠিন হবে, কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ নিয়মগুলো ঠিকভাবে ধরার পর দেখলাম বরকতই শুধু বাড়ে।
ভাই, নামাজের সময় দোকান বন্ধ রাখলে কাস্টমার হারানোর ভয় লাগে না? এই সমস্যাটা কিভাবে ম্যানেজ করেন?