১৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রযুক্তি দুনিয়ায় যে বিষয়টি সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছে, তা হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এআই শুধু গবেষণাগারের প্রযুক্তি নেই, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও এই পরিবর্তনটা বেশ দ্রুত গতিতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে শুরু করে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম কিংবা সিলেট, সর্বত্রই এখন প্রযুক্তি নির্ভর কর্মপদ্ধতির প্রসার বাড়ছে। বিশেষ করে আইটি সাপোর্ট, সফটওয়্যার সার্ভিস, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং ই-কমার্স খাতে এআই এর ব্যবহার দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
আমি নিজে আইটি সাপোর্টে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি যে এআই ভিত্তিক টুল ব্যবহারের কারণে এখন সমস্যাগুলো অনেক দ্রুত শনাক্ত করা যায়। আগে যেখানে নেটওয়ার্ক বা সফটওয়্যারের ত্রুটি বুঝতে অনেক সময় লেগে যেত, এখন এআই লগ বিশ্লেষণ করে দ্রুত পরামর্শ দেয়। এতে শুধু কাজের গতি বাড়ে না, গ্রাহক সেবার মানও উন্নত হয়। ময়মনসিংহের অনেক প্রতিষ্ঠানে এখন এআই চ্যাটবট ব্যবহার হচ্ছে, যা ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। মাশাআল্লাহ, প্রযুক্তির এই উন্নতি আমাদের দেশের দক্ষতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখছে।
বিশ্বব্যাপী এআই গবেষণার অগ্রগতি দেখে ধারণা করা যায় যে আগামী দিনগুলোতে এআই আরও মানবসদৃশ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং নৈতিকতার দিকটি নিশ্চিত করা খুব জরুরি। বাংলাদেশেও এখন এআই নীতিমালা নিয়ে আলোচনা বাড়ছে। শিক্ষা খাতে এআই ব্যবহার করে ব্যক্তিগতকৃত শেখার সুযোগ তৈরি হচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও দক্ষ করে তুলতে পারে। ইনশাআল্লাহ আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আমরা আরও বড় পরিবর্তন দেখতে পাবো।
তবে এআই এর উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে চাকরির ক্ষেত্রেও নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিচ্ছে। কিছু কাজ স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাওয়ায় চাকরির ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে। এজন্য কর্মীদের নতুন দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য। আমি নিজেও লক্ষ্য করেছি যে আইটি সাপোর্টে এখন শুধু হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার জ্ঞান নয়, এআই টুল পরিচালনা, ডেটা বিশ্লেষণ এবং অটোমেশন স্ক্রিপ্টিং শেখা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেকেই অনলাইনে কোর্স করে নিজেদের দক্ষতা বাড়াচ্ছেন, যা আলহামদুলিল্লাহ দেশের কর্মশক্তিকে আরও শক্তিশালী করছে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এআই এর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং সম্ভাবনাময়। সঠিক পরিকল্পনা, নীতিমালা এবং প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশও এই প্রযুক্তি বিপ্লবে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারবে। প্রযুক্তির এই পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে পারলেই ভবিষ্যৎ হবে আরও সমৃদ্ধ।
Top comments (3)
হাহা ভাই, এআই এর ভবিষ্যৎ যদি এমনই চলে তো একদিন ইনশাআল্লাহ বাসার রুটি বেলাও এআই করিয়ে দিবো, আমরা শুধু চা খেয়ে বসে থাকব!
ভাই, বাংলাদেশে এআই এর এই দ্রুত অগ্রগতির মূল কারণটা ঠিক কী বলে মনে করেন? আর ভবিষ্যতে আমাদের চাকরির বাজারে এর প্রভাব কেমন হতে পারে একটু বুঝিয়ে বলবেন ইনশাআল্লাহ?
আমার অফিসে গত বছর থেকে এআই টুলস ইউজ করছি, মাশাআল্লাহ কাজের স্পিড অনেক বেড়ে গেছে।