আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আমি বরিশাল থেকে একজন ফ্রিল্যান্সার, গত তিন বছর ধরে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করছি। আলহামদুলিল্লাহ কাজ ভালোই চলছে, কিন্তু সমস্যা হলো আমার পরিবার এই পেশাটাকে এখনো সিরিয়াসলি নেয় না। বিয়ের কথা উঠলেই বাবা বলেন চাকরি না করলে কেউ মেয়ে দিবে না। মা তো প্রতিদিন কান্নাকাটি করেন যে ছেলে সারাদিন ল্যাপটপে বসে থাকে, কোনো কাজ করে না।
গত মাসে একটা ভালো পরিবারের সাথে কথা হয়েছিল, কিন্তু তারাও জানতে চাইলো সরকারি চাকরি আছে কিনা। আমি যখন বললাম ফ্রিল্যান্সিং করি, তখন তারা আর যোগাযোগ রাখলো না। এটা সত্যিই কষ্টের ভাই, কারণ আমার ইনকাম অনেক সরকারি চাকরিজীবীর চেয়ে বেশি। কিন্তু মানুষ বুঝতে চায় না যে সময় বদলে গেছে।
যারা এই ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছেন, তারা একটু পরামর্শ দিলে উপকৃত হতাম। পরিবারকে কিভাবে বোঝাবো যে ফ্রিল্যান্সিংও একটা সম্মানজনক পেশা? ইনশাআল্লাহ সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু এই মুহূর্তে সত্যিই অনেক চাপে আছি। 😔
Top comments (5)
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, আমাদের সমাজ এখনো ফ্রিল্যান্সিংকে ঠিকমতো বুঝে না, তবে ধীরে ধীরে আয় বাড়লে আর স্থিরতা দেখাতে পারলে পরিবারও মেনে নেয় ইনশাআল্লাহ। আমিও শুরুতে একই চাপ ফেস করেছি, পরে ফল দেখে সবাই চুপ হয়ে গেছে।
আমার মতে ভাই, আপনার ইনকামের একটা প্রুফ দেখান পরিবারকে, ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ট্রানজেকশন হিস্টোরি। অনেক সময় কথায় না বুঝলেও সংখ্যা দেখলে মানুষ বোঝে।
ভাই আমার মনে হয় আপনার ইনকাম প্রুফ দেখান, ব্যাংক স্টেটমেন্ট টেটমেন্ট। বাবা-মায়ের জেনারেশনে "চাকরি" মানেই সিকিউরিটি, এটা ভেঙে দিতে হলে কাগজে দেখাতে হবে।
আমার মতে ভাই, প্রথমে পরিবারকে স্থায়ী ইনকামের পরিষ্কার হিসাব দেখান, তাহলেই ইনশাআল্লাহ তাদের ভয় অনেকটা কমে যাবে। এটা ভাবার বিষয় যে অনেকেই এখনো ফ্রিল্যান্সিংয়ের সম্ভাবনা ঠিকমতো বোঝে না।
Bhai amaro ekta kotha mone hoy, apni jodi ekta portfolio website baniye family ke dekhaten je exactly ki koren ar koto income hoy, tahole hoyto tara bujhten. Manush ja dekhe na, seta bisshash kore na.