বরিশালসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সাম্প্রতিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বেশ কিছু উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ সচেতনতা আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং লবণাক্ততার বিস্তার আগামী বছরগুলোতে আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। Department of Environment এ প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলার কিছু এলাকায় ভূমি ক্ষয় গত পাঁচ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন যে বর্ষার বৃষ্টিপাতের ধরনেও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যার ফলে কৃষি উৎপাদনে চরম প্রভাব পড়ছে। বরিশালের অনেক কৃষকই বলছেন যে আগে যেখানে ধানের উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল, এখন সেখানে লবণাক্ত পানির কারণে জমি চাষযোগ্য রাখতে অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। আমি নিজেও গত মাসে সরকারি দায়িত্বে চরাঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি যে কয়েকটি গ্রামের মানুষের পানীয় জলের সংকট আরও তীব্র হয়েছে। ইনশাআল্লাহ সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন হলে এ সমস্যা কিছুটা লাঘব করা সম্ভব।
অন্যদিকে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় অনেক পরিবার বাড়িঘর হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন নদীভাঙন এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে প্রতি বর্ষায় নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়। কয়েকজন জেলে ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তারা জানালেন যে আগের মতো মাছ ধরা নামেই নেই, কারণ পানির তাপমাত্রা পরিবর্তনের ফলে কিছু মাছ অন্যত্র সরে যাচ্ছে। মাশাআল্লাহ যারা বিকল্প পেশায় যেতে পেরেছেন তাদের অবস্থা কিছুটা ভালো, কিন্তু সবাই তো আর সেই সুযোগ পান না।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন যে শহরাঞ্চলেও বায়ুদূষণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। Dhaka University এর গবেষকরা নতুন এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন যে বরিশাল শহরের প্রধান সড়কগুলিতে যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণকাজের ধুলাবালু স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। আমি ব্যক্তিগতভাবে অফিসে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করছি যে সকালে রাস্তায় হাঁটলেই চোখে জ্বালা করে এবং মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন পরিবেশগত এই সংকট মোকাবিলায় এখনই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। গাছ লাগানো, প্লাস্টিক কম ব্যবহার করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং নদী ও খাল বাঁচাতে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নেয়ার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন তারা। ইনশাআল্লাহ সবাই একসঙ্গে কাজ করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব।
Top comments (5)
Barishailer manush to already pani te floating jibon katte expert, ebar lobon pani diye achar banano shikhe nibo bhai! 😅
Bhai eivabe cholte thakle Barisal er manush ra nao er bodole submarine cholate shuru korbe, Inshallah!
Sotti kotha bhai, upokuliyo elakay lobonaktota boro somossa hoye jachche. Alhamdulillah awareness barche, but aro kaj dorkar.
ভাই, এ ধরনের গবেষণায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো কোনগুলো বলা হয়েছে একটু বুঝিয়ে বলবেন? ইনশাআল্লাহ জানতে চাই।
হাহা ভাই এই রেটে গেলে বরিশালের মানুষ তো শীঘ্রই নৌকায় থাকতে শিখে যাবে, ইনশাআল্লাহ সাঁতার জাতীয় খেলা হয়ে যাবে!