বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন অনেকেরই থাকে, বিশেষ করে আমাদের খুলনা অঞ্চলের অনেক ভাইবোন এখন উচ্চশিক্ষার সুযোগ খুঁজছেন। আলহামদুলিল্লাহ, ইন্টারনেটে এখন নানা রকম স্কলারশিপের তথ্য পাওয়া যায়, কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাওয়া অনেক সময় ঝামেলার হয়ে উঠে। ২৭ নভেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী এই পোস্টে আমি কিছু নির্ভরযোগ্য উৎস, অভিজ্ঞতা এবং কিছু বাস্তব টিপস শেয়ার করছি যাতে করে আপনারা ইনশাআল্লাহ আরও আত্মবিশ্বাসের সাথে স্কলারশিপের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন।
আমি নিজে যখন মাস্টার্স স্কলারশিপ খুঁজছিলাম, তখন প্রথম দিকেই বুঝেছি যে সরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক অফিসিয়াল ওয়েবসাইটই সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য উৎস। উদাহরণ হিসেবে যেকোনো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল website এ গেলে Scholarships বা Funding অংশে ভরসাযোগ্য তালিকা পাওয়া যায়। ইউরোপে পড়তে আগ্রহী হলে Erasmus Mundus Joint Masters Programme এখনো জনপ্রিয় একটি অপশন। একইভাবে যুক্তরাজ্যের Chevening এবং Commonwealth স্কলারশিপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বস্ত। তবে আবেদন প্রক্রিয়া বেশ প্রতিযোগিতামূলক, তাই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন রেফারেন্স লেটার, স্টেটমেন্ট অব পারপাস এবং একাডেমিক রেজাল্ট আগে থেকেই গুছিয়ে রাখা জরুরি।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি হল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অফিসগুলোর সাথে সরাসরি ইমেইলে যোগাযোগ করা। আমি একবার জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেইল করেছিলাম, আর তারা খুবই ভদ্রভাবে পুরো আবেদন প্রক্রিয়ার ধাপগুলো পাঠিয়ে দেয়। অনেক সময় অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সব তথ্য স্পষ্ট নাও থাকতে পারে, তাই সরাসরি যোগাযোগ করলে জটিলতা কমে যায়। বিশেষ করে যারা খুলনা বা অন্যান্য বিভাগীয় শহর থেকে আবেদন করেন, তারা অনেক সময় কোচিং সেন্টারের ওপর নির্ভর করেন, কিন্তু আমার অভিজ্ঞতায় নিজেরা পড়ে ও অফিসিয়াল উৎস দেখে আবেদন করাই বেশি নির্ভরযোগ্য।
এছাড়া বর্তমানে Facebook ও YouTube এ অনেক স্কলারশিপ গাইডেন্স গ্রুপ আছে, যেগুলোর কিছু বেশ মানসম্মত পরামর্শ দেয়। তবে সব তথ্য চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা ঠিক নয়। আমার পরামর্শ, যেকোনো তথ্য পাওয়ার পর অবশ্যই সেই দেশের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাচাই করে নেয়া উচিত। Pathao দিয়ে ভর্তি ফি পাঠানো বা অনলাইনে ডকুমেন্ট জমা দেয়ার মতো কাজগুলো করার সময়ও সতর্ক থাকা দরকার যাতে প্রতারণার শিকার না হন।
সবশেষে, প্রস্তুতি এবং ধৈর্যই স্কলারশিপ পাওয়ার সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। ইংরেজি ভাষা দক্ষতা বাড়াতে নিয়মিত অনুশীলন করুন, বিশেষ করে যারা IELTS বা TOEFL দিতে চান। ইনশাআল্লাহ নিয়মিত চেষ্টা করলে এবং বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে তথ্য নিয়ে এগোলে স্কলারশিপ পাওয়া কঠিন কিছু নয়। যারা নতুন করে যাত্রা শুরু করতে চান, তাদের জন্য শুভকামনা রইল 🙂
Top comments (5)
স্কলারশিপ খুঁজতে খুঁজতে চুল পাকা হয়ে যায়, পাওয়ার আগেই বুড়া হয়ে যাই 😂
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ভাই, বিশ্বস্ত সোর্স যাচাই করে আবেদন করাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ ইনশাআল্লাহ, নইলে ভুয়া স্কলারশিপে সময় নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
amar obhiggota bole mama, trusted scholarship khujte amar o onek shomoy legeche, kintu right resource pete parlei overall process ta onek easy lage mashallah.
Scholarship er post dekhe mone hocche ami o ekdin bidesh jabo, kintu wallet khule dekhi shudhu moth ura ucche haha
মাশাআল্লাহ, অনেক দরকারি পোস্ট ভাই। খুলনা থেকে যারা স্কলারশিপ খুঁজছেন তাদের জন্য এটা সত্যিই কাজে আসবে।