দুর্নীতি প্রতিরোধ আজকাল বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, জনসাধারণের প্রত্যাশা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মানুষ এখন প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং নীতিনৈতিকতার বিষয়ে আরও সচেতন। অনেক বিশ্লেষকের মতে, দুর্নীতি কেবল কিছু ব্যক্তির সমস্যা নয়, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ যা মোকাবেলার জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় নাগরিকদের সাথে আলোচনা করতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা শুনেছি। যশোরের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী ভাই বলছিলেন, ছোট ব্যবসা চালাতে গেলেও কখনো কখনো অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা অদৃশ্য চাপের সম্মুখীন হতে হয়। তিনি বললেন, যদি সব প্রক্রিয়া ডিজিটাল করা যায় এবং পরিষেবা সহজে পাওয়া যায়, তাহলে দুর্নীতি কমবে এবং মানুষের সময় ও খরচও বাঁচবে। আলহামদুলিল্লাহ, আজকাল সরকারি বিভিন্ন সেবা অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু সেই ব্যবস্থায় আরও উন্নয়ন দরকার ইনশাআল্লাহ।
দুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। Facebook বা YouTube এ দেখা যায়, তারা বাস্তব সমস্যা তুলে ধরে নাগরিকদের মধ্যে একটি ইতিবাচক ভাবনার জায়গা তৈরি করছে। এগুলো অবশ্যই উৎসাহজনক। তবে অভিজ্ঞতা বলে, শুধু সচেতনতা নয়, এর সঙ্গে দরকার শক্তিশালী নীতি বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছ নেতৃত্ব।
একবার মিরপুরে একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিলাম যেখানে বক্তারা বলছিলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে শুধু আইন নয়, নৈতিক শিক্ষাও বড় ভূমিকা রাখে। একজন অধ্যাপক উদাহরণ দিয়ে বলছিলেন, পরিবার থেকে কর্মস্থল পর্যন্ত যদি সততার চর্চা বাড়ে, তাহলে প্রশাসনিক কাঠামোও আরও শক্তিশালী হবে। মাশাআল্লাহ, অনেক প্রতিষ্ঠান আজকাল অভ্যন্তরীণ নজরদারি বাড়িয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক।
সবশেষে বলা যায়, দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার, বেসরকারি খাত এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতা জরুরি। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, সুশাসন নিশ্চিত করা এবং নাগরিকদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। যশোর থেকে ঢাকায় যেখানেই যাই, সাধারণ মানুষ একটি স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের প্রত্যাশা করছে। এই প্রত্যাশা পূরণই আমাদের পরবর্তী রাজনৈতিক দায়িত্ব হওয়া উচিত ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, নিচের স্তরের অফিসগুলোতে ঘুষ না দিলে ফাইল নড়ে না, তাই জনসম্পৃক্ততা আর সচেতনতা বাড়ানো জরুরি ইনশাআল্লাহ। আমিও দেখেছি মানুষ একটু চেপে ধরলে অনেকেই চাপ পেয়ে স্বচ্ছভাবে কাজ করতে বাধ্য হয়।
Ami nijei ekbar thana te giye dekhlam koto takar khelaa, chokher samne sob dekhlam tai bolchi awareness aro dorkar bhai.
হাহা ভাই, দেশে দুর্নীতি বন্ধ হবে শুনলে মনে হয় ইনশাআল্লাহ আগামী ঈদেই মঙ্গল গ্রহে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকব।
মজার পোস্ট, পড়ে হাসিই পাইলাম মামা।
একদম সঠিক কথা ভাই, জনসম্পৃক্ততা ছাড়া দুর্নীতি রোধ সম্ভব না। ইনশাআল্লাহ সবাই সচেতন হলে পরিবর্তন আসবে।
আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ছোটখাটো সরকারি কাজেও ঘুষ না দিলে এক পা-ও এগোয় না, এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার ইনশাআল্লাহ।