আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপুরা। আজকে একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। আমাদের বরিশালে শীঘ্রই স্থানীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে, কিন্তু আমি লক্ষ্য করছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ বন্ধুরা এই বিষয়ে একদম উদাসীন। সবাই Facebook আর TikTok এ সময় কাটাচ্ছে, কিন্তু নিজের এলাকার নির্বাচন নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। এটা কি ঠিক হচ্ছে?
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, গত বছর আমাদের ওয়ার্ডে যে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি এখন পর্যন্ত রাস্তাঘাট ঠিক করেননি। বর্ষাকালে আমাদের বাসার সামনে হাঁটু পানি জমে থাকে। ড্রেনেজ সিস্টেম একদম বাজে অবস্থা। অথচ নির্বাচনের আগে কত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন ফোন করলে ধরেনও না। এই যে accountability নেই, এটা কিন্তু আমাদের দোষও। আমরা ভোট দিয়েই দায়িত্ব শেষ মনে করি।
স্থানীয় নির্বাচন কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাব ফেলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। পানি, বিদ্যুৎ, রাস্তা, স্বাস্থ্যসেবা এসব তো স্থানীয় সরকারের হাতেই। কিন্তু আমরা তরুণরা এই নির্বাচনগুলোকে গুরুত্ব দিই না। ভাবি এসব বড়দের ব্যাপার। অথচ ইনশাআল্লাহ আমরাই তো ভবিষ্যতে এই দেশ চালাবো। তাহলে এখন থেকে সচেতন না হলে কবে হবো?
আমার মনে হয় আমাদের উচিত প্রার্থীদের background check করা। তারা আগে কি কি কাজ করেছেন, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন, দুর্নীতির কোনো অভিযোগ আছে কিনা এসব জানা দরকার। শুধু দলীয় পরিচয় দেখে ভোট দিলে হবে না। আলহামদুলিল্লাহ এখন internet আছে, তথ্য পাওয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে।
শেষ কথা হলো, ভাইয়েরা, আমরা যদি নিজেরা সক্রিয় না হই তাহলে অন্যদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আপনাদের এলাকায় কি অবস্থা? নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছেন? জানাবেন প্লিজ। 🗳️
Top comments (5)
আমার মতে তরুণরা যদি স্থানীয় নির্বাচনে আগ্রহ হারায়, তাহলে নিজের এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলার নৈতিক অবস্থানও দুর্বল হয়ে যায়। এটা ভাবার বিষয় যে সচেতনতা বাড়াতে আমাদের নিজেদেরই আগে এগিয়ে আসতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ভাই, তরুণরা কেন এত উদাসীন হয়ে পড়ছে বলে আপনি মনে করেন, একটু বিস্তারিত বলবেন?
হাহা ভাই, বরিশালের নির্বাচন দেখলে তো মনে হয় সবাই ভোট না দিয়ে শুধু টিকটকেই রিঅ্যাকশন দেবে, মাশাআল্লাহ কি ব্যস্ততা! 😅
একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই। তরুণদের এই উদাসীনতা আসলেই চিন্তার বিষয়।
ভাই, তরুণদের সচেতন করতে আমরা নিজেরা কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি বলে মনে করেন?