বাংলাদেশে যুব রাজনীতি আজকাল নতুন এক মোড়ে দাঁড়িয়েছে। আগের মতো শুধু দলীয় মিছিল বা পোস্টারিংয়ের মধ্যে আর সীমাবদ্ধ নেই। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, অনলাইন ফোরাম এবং সামাজিক উদ্যোগে এখন তরুণরা নীতিনির্ধারণ, সামাজিক সমস্যা আর উন্নয়ন ভাবনাকে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। চট্টগ্রামসহ দেশের বড় শহরগুলোতে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, তরুণরা রাজনৈতিক আলোচনায় আগ্রহী হলেও তারা পরিষ্কারভাবে বলছে যে নীতি ও স্বচ্ছতা তাদের অগ্রাধিকার।
আগ্রাবাদের অনেক তরুণের সাথে কথা বললে বোঝা যায় যে এলাকার সমস্যাগুলো তারা নিজের মতো করে বিশ্লেষণ করছে। আমার এক ছোটবেলার বন্ধু, বর্তমানে আগ্রাবাদের একটি কলেজে পড়ে, বলছিল যে স্থানীয় রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা আর নিরাপত্তা নিয়ে তারা নিয়মিত আলোচনা করে এবং সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখিও করে। সে বলছিল যে আগে এসব নিয়ে তারা খুব একটা ভাবতো না, কিন্তু এখন মনে করছে যে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে নিজে কথা বললে তবেই পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ। এ ধরনের পরিবর্তনমূলক মানসিকতা আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয়।
যুব রাজনীতির আরেকটি বড় পরিবর্তন হচ্ছে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি। Facebook, YouTube বা বিভিন্ন ব্লগে এখন তরুণরা শান্তভাবে মত প্রকাশ করছে এবং বহুমাত্রিক আলোচনার সুযোগ তৈরি করছে। আজকাল অনেকেই বই পড়ছে, বিভিন্ন অনলাইন লেকচার দেখছে এবং দেশের নীতি পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবভিত্তিক মতামত দিচ্ছে। এতে রাজনৈতিক সংস্কৃতি ধীরে ধীরে আরও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ হয়ে উঠছে, যা আলহামদুলিল্লাহ ইতিবাচক সংকেত।
চট্টগ্রামের সাধারণ পরিবারগুলোও তাদের সন্তানদের রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন করতে উৎসাহ দিচ্ছে, যদিও সক্রিয় রাজনীতিতে জড়ানো নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকে। এক নতুন মায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, যেমন আপনি আগ্রাবাদ থেকে লিখছেন, স্বাভাবিকভাবেই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তাই আগে আসে। তাই অনেকে চান সন্তানরা যেন ভালভাবে শিক্ষিত হয়ে, শান্তিপূর্ণভাবে সিদ্ধান্ত নেয় এবং সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখে। পরিবারগুলো এখন বেশি মনোযোগ দিচ্ছে চরিত্র, নীতি আর সামাজিক দায়িত্ববোধ তৈরিতে।
সব মিলিয়ে, বাংলাদেশের যুব রাজনীতি আজ নতুন এক রূপ নিচ্ছে। তরুণরা আগের মতো কেবল দলীয় পরিচয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গঠন নিয়ে ভাবছে। তারা স্বচ্ছতা, সমতা, পরিবেশ, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং প্রযুক্তি নিয়ে বেশি সচেতন। ভবিষ্যতে এই প্রজন্মের হাত ধরেই দেশের রাজনীতি আরও গঠনমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে বলে অনেকেই আশা করছেন, মাশাআল্লাহ।
Top comments (5)
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, তরুণদের এই ইতিবাচক অংশগ্রহণ মাশাআল্লাহ ভবিষ্যতে সুন্দর পরিবর্তন আনবে ইনশাআল্লাহ।
ভাই, এই নতুন ধারা কি আসলেই তরুণদের রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে পারছে নাকি শুধু অনলাইনেই সীমাবদ্ধ থাকছে? একটু বুঝিয়ে বলবেন ইনশাআল্লাহ?
Amar mote ekhon tarunra bujhte parche je shudhu dol er pechone na giye nijeder chintar jaygata toiri kora dorkar, eta positive sign InshAllah.
amar o experience e dekha jay je onek young bhai ra ekhon activism er cheye policy niye kotha bole, mashaAllah eta positive change boltei hoy. InshaAllah aro constructive vibe spread hobe.
হাহা ভাই, "নতুন ধারা" মানে এখন মিছিলের বদলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া! 😂