ভাই, আমরা যারা স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন তাদের জন্য ভ্রমণের সময় নিজের যত্ন নেওয়াটা একটু চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। আমি চট্টগ্রামে থাকি, আগ্রাবাদ এলাকায়। গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি এবং কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই যেগুলো ইনশাআল্লাহ আপনাদের কাজে আসবে।
প্রথমত, ভ্রমণে বের হওয়ার আগে একটু প্ল্যানিং করে নিন। আমি যখন সিলেট বা কক্সবাজার যাই, তখন সাথে করে শুকনো ফল, বাদাম, আর কিছু হেলদি স্ন্যাকস নিয়ে যাই। রাস্তায় ফুচকা বা চটপটি খেতে মন চাইবেই, কিন্তু পেটের সমস্যা এড়াতে পরিচিত দোকান থেকে খাওয়াই ভালো। bKash বা Nagad দিয়ে পেমেন্ট করার সুবিধা থাকলে ক্যাশ কম রাখতে পারবেন, এটা নিরাপত্তার জন্যও ভালো।
দ্বিতীয়ত, পানি নিয়ে সতর্ক থাকুন। আলহামদুলিল্লাহ এখন Pathao বা অন্যান্য সার্ভিস দিয়ে সহজেই বোতলজাত পানি অর্ডার করা যায়। আমি নিজে একটা ছোট পানির ফিল্টার বোতল সাথে রাখি, যেকোনো জায়গায় কাজে দেয়। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকা যেমন বান্দরবান বা রাঙামাটিতে এটা খুবই দরকারি।
তৃতীয়ত, হাঁটাহাঁটির জন্য প্রস্তুত থাকুন। ভ্রমণ মানেই অনেক হাঁটা, এটাকে exercise হিসেবে নিন। আমি সাধারণত সকালে বের হই যখন রোদ কম থাকে। সাথে সানস্ক্রিন আর একটা টুপি রাখি। ঢাকায় গুলশান বা ধানমন্ডি এলাকায় ঘুরলেও এই অভ্যাস মেনে চলি।
সবশেষে, ঘুমের রুটিন যতটা সম্ভব ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। নতুন জায়গায় উত্তেজনায় ঘুম কম হয়, কিন্তু এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। হোটেল বুক করার আগে Daraz বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে রিভিউ দেখে নিন। শান্ত পরিবেশ পেলে ভ্রমণটা আরো উপভোগ্য হয়। মাশাআল্লাহ আমাদের দেশে এত সুন্দর জায়গা আছে, একটু সচেতন থাকলে সুস্থ থেকেই সব উপভোগ করা যায় 😊
Top comments (4)
অনেক উপকারী লিখেছেন ভাই, ভ্রমণে স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে এগুলো ইনশাআল্লাহ সবাইকে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভাই আমি ভ্রমণে গেলে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাসে উঠতেই বাসস্ট্যান্ডে রেখে আসি, ফুচকা দেখলে সব ভুলে যাই 😂
ভাই, ভ্রমণের সময় খাবারের রুটিন ঠিক রাখার জন্য আপনি কী করেন, একটু বিস্তারিত বলতে পারবেন?
ভাই, লং ট্যুরে যেমন কক্সবাজার বা সুন্দরবন যাওয়ার সময় খাবার নিয়ে কী করেন? বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা কি সম্ভব হয়?