আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপুরা। গুলশানে থাকি বলে অনেক বিদেশি বন্ধুবান্ধব আছে আমার। তারা প্রায়ই জিজ্ঞেস করে বাংলাদেশে দুর্নীতির অবস্থা কেমন। সত্যি বলতে উত্তর দিতে একটু লজ্জাই লাগে মাঝে মাঝে। তবে আশার কথা হলো আজকাল সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা এই সমস্যা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে।
গত সপ্তাহে আমার এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল। সে একটা সরকারি অফিসে কাজ করাতে গিয়েছিল। আগে যেখানে ঘুষ ছাড়া কিছুই হতো না, সেখানে এখন অনলাইন সিস্টেম চালু হওয়ায় অনেক কিছু সহজ হয়ে গেছে। bKash বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সরাসরি পেমেন্ট করা যাচ্ছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমেছে অনেকটাই। আলহামদুলিল্লাহ এটা একটা ভালো পরিবর্তন।
তবে শুধু সরকারি উদ্যোগে সব হবে না। আমাদের প্রত্যেকের নিজের জায়গা থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে। ছোট ছোট বিষয় থেকে শুরু করতে হবে। যেমন ট্রাফিক পুলিশকে ঘুষ না দেওয়া, সঠিক কাগজপত্র নিয়ে বের হওয়া, অফিসে সৎ থাকা। আমি নিজে চেষ্টা করি Pathao বা Uber এ রাইড নেওয়ার সময় সঠিক ভাড়া দিতে, কোনো রকম ঝামেলা এড়াতে অতিরিক্ত টাকা না দিতে।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখছি আজকাল। Facebook বা YouTube এ দুর্নীতি বিরোধী অনেক ক্যাম্পেইন চলছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, বুয়েটের ছেলেমেয়েরা সচেতনতামূলক কাজ করছে। এটা মাশাআল্লাহ অনেক ভালো লাগে দেখতে। ইনশাআল্লাহ এই প্রজন্ম একটা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে।
শেষ কথা হলো, দুর্নীতি প্রতিরোধ একদিনে হবে না। এটা একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আমাদের পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে সততার চর্চা করতে হবে। আপনারা কি মনে করেন? আপনাদের এলাকায় কি কোনো পরিবর্তন দেখছেন? কমেন্টে জানান ভাই।
Top comments (5)
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, গুলশান থেকে শুরু করে ছোট শহর পর্যন্ত অনেক জায়গায় এখনও দুর্নীতির ছাপ দেখা যায়, তবে সচেতনতা আগের চেয়ে বাড়ছে আলহামদুলিল্লাহ। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে কাজ করলে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।
Ekdom thik bhai, durniti komate amader sobar active vumiqa dorkar, inshaAllah parbo. Bhalo post diyechen.
সত্যি কথা বলতে দুর্নীতি রোধে সরকারের পাশাপাশি আমাদের নিজেদের মানসিকতা বদলানোটাই সবচেয়ে জরুরি ভাই।
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, অফিসে ছোটখাটো কাজ করতেও আগে যেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল এখন একটু কমেছে আলহামদুলিল্লাহ, তবে দুর্নীতি থামাতে আমাদের নিজেরাও সচেতন হলে ইনশাআল্লাহ আরও ভালো হবে।
আমার এক আত্মীয় পাসপোর্ট অফিসে কোনো ঘুষ না দিয়ে কাজ করাতে গিয়ে ৩ মাস লেগেছিল, অথচ টাকা দিলে ১ সপ্তাহে হয়ে যেত - এটাই বাস্তবতা ভাই।