বিয়ে জীবনের একটা বড় মোড়, এটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু বাস্তবে বিয়ের আগে ও পরে কিভাবে মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া যায় সেটা অনেকেই ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। আমি নিজে সিলেট সদরের মানুষ, পরিবার-পরিজন মিলে আলহামদুলিল্লাহ শান্ত পরিবেশে বড় হয়েছি। তাই নিজের অভিজ্ঞতা আর আশেপাশের ভাই-বোনদের বাস্তব গল্প থেকে আজ কিছু কথা শেয়ার করছি, যেন কারও কাজে লাগে। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিজেকে ভালোভাবে বোঝা। আপনি আসলে কি চান, আপনার প্রত্যাশা কি, পরিবারকে কিভাবে যুক্ত রাখবেন এগুলো ভাবা খুব জরুরি। কারণ অনেক সময় আমরা শুধু সামাজিক চাপ থেকে বিয়ে করতে যাই, পরে গিয়ে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়।
বিয়ের পর আসল পরীক্ষা শুরু হয়। আমার এক বন্ধু, মিরপুরে থাকে, কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছে। সে বলছিল, বিয়ের পর পরিবার, কাজ আর ব্যক্তিগত সময়ের ভারসাম্য রাখা সবচেয়ে কঠিন মনে হয়েছে তার কাছে। অথচ বিয়ের আগে বিষয়টা সে খুব হালকা ভাবে দেখত। ইনশাআল্লাহ, ধৈর্য আর বোঝাপরার মাধ্যমে অনেক সমস্যাই সহজে সমাধান হয়ে যায়, কিন্তু এই ধৈর্যটা আগে থেকে তৈরি করতে হয়। বিয়ের প্রথম দিকের ভুল বোঝাবুঝি খুব স্বাভাবিক, তাই এটা নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে খোলামেলা কথা বলা জরুরি।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা। বর্তমানে ২০২৫ সালে খরচপত্র আগের চেয়ে অনেক বেশি, বিশেষ করে ঢাকায় বা সিলেট শহর এলাকায় থাকলে। তাই বিয়ের আগেই দুইজনের মধ্যে খরচ কিভাবে ভাগ হবে, সঞ্চয় কিভাবে হবে, পরিবারিক দায়িত্ব কি থাকবে—এসব নিয়ে পরিষ্কার আলোচনা দরকার। এটা নিয়ে লুকোচুরি করলে পরে অকারণে মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। আমার এক পরিচিত দম্পতি bKash আর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দুটোই যৌথভাবে ব্যবহার করে, এতে নাকি তাদের মধ্যে বিশ্বাস আরও বাড়ে।
সবশেষে বলব, বিয়ে মানে শুধু দুইজন মানুষের সম্পর্ক নয়, দুই পরিবারের সম্পর্কও। তাই ভবিষ্যতে সুন্দর পরিবারিক পরিবেশ গড়তে চাইলে প্রথম দিন থেকেই সম্মান, ধৈর্য আর ভালো ব্যবহার ধরে রাখা উচিত। সিলেটের অনেক পরিবারে দেখেছি, ছোটখাটো বিষয়েও বড়রা জড়িয়ে পড়লে সমস্যা বাড়তে পারে, তাই নিজেরা আগে সমাধানের চেষ্টা করাই ভালো। আলহামদুলিল্লাহ, বুঝদারী নিয়ে চললে বিয়ে জীবনকে আরও সুন্দর করে তোলে। ইনশাআল্লাহ, যারা বিয়ে করতে চাইছেন বা নতুন বিয়ে করেছেন, তাদের জন্য এই কথাগুলো কাজে লাগবে। 😊
Top comments (5)
ভাই, আমি একমত নই, কারণ বিয়ের মানসিক প্রস্তুতি শুধু পরিবারিক শান্ত পরিবেশে বড় হওয়ার ওপর নির্ভর করে না, বরং বাস্তব চ্যালেঞ্জ সামলানোর সক্ষমতাও লাগে। আমার অভিজ্ঞতা আলাদা।
আমার অভিজ্ঞতায় বিয়ের আগে দুজনের খোলামেলা ভাবে আশা-চাহিদা নিয়ে কথা বলা মানসিক প্রস্তুতিকে অনেক সহজ করে, আর পরে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ধৈর্য রাখা ইনশাআল্লাহ শান্তি আনে। ভালো লিখছেন ভাই, চালিয়ে যান।
ভাই, বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ার সবচেয়ে কার্যকর দিকটা আপনার অভিজ্ঞতায় কোনটা মনে হয়েছে? একটু উদাহরণ দিলে ভালো হত ইনশাআল্লাহ।
ভাই, বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতির জন্য আপনি কোন বিষয়গুলোকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন একটু বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবেন?
আমার নিজের বিয়ের পর প্রথম ছয় মাস বেশ কঠিন ছিল, কিন্তু ধৈর্য ধরে একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করলে ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যায়।