আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপারা। আমার ছেলের বয়স এখন ৫ বছর হলো, আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছে। আমি জানতে চাচ্ছিলাম যে বাচ্চাদের নামাজ শেখানো কত বছর বয়স থেকে শুরু করা উচিত। কেউ কেউ বলেন ৭ বছর থেকে, আবার কেউ বলেন আরো আগে থেকেই অভ্যাস করানো ভালো। সিলেটে আমাদের এলাকার মসজিদে হুজুর একরকম বলেন, আবার অনলাইনে অন্যরকম দেখি।
আসলে আমি চাই আমার ছেলে ছোট থেকেই দ্বীনের পথে থাকুক, ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আবার এত ছোট বয়সে জোর করলে তার মনে বিরূপ প্রভাব পড়বে কিনা সেটা নিয়েও চিন্তিত। আমার স্ত্রীও বলছে যে ধীরে ধীরে শেখালে ভালো হবে, তাড়াহুড়ো করার দরকার নাই। পরিবারে সবাই মিলে এই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে চাচ্ছি।
যারা আলেম বা এই বিষয়ে জানেন, তারা একটু জানাবেন কি হাদিস বা ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী সঠিক নিয়ম কি? আর বাচ্চাদের আগ্রহী করে তোলার জন্য কি কি উপায় অবলম্বন করা যায়? আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে অনেক উপকৃত হবো। জাজাকাল্লাহ খাইর।
Top comments (6)
আমার অভিজ্ঞতায় ভাই, ৫ বছর থেকেই খেলাধুলার মতো করে নামাজের অভ্যাস করালে ভালো হয়, আর ৭ বছর থেকে নিয়ম মেনে শেখালে ইনশাআল্লাহ সহজেই ধরে নেবে। আলহামদুলিল্লাহ আপনার ছেলে সুস্থ আছে, ধীরে ধীরে দেখালে সে নিজে থেকেই আগ্রহ পাবে।
আমার অভিজ্ঞতায় ৫ বছর থেকেই ধীরে ধীরে অভ্যাস করানো ভালো, আর ৭ বছর হলে নিয়মিতভাবে শেখাতে বলেছে অনেক আলেম, ইনশাআল্লাহ এতে ওর মনে ভালো অভ্যাস তৈরি হবে। শান্তভাবে খেলাধুলার মতো করে শেখালে বাচ্চারা আগ্রহ পায় ভাই।
৫ বছর হয়ে গেছে এখনো শেখাননি? দেরি করে ফেলছেন ভাই, এত কিছু জানার কী আছে হুজুরের কাছে নিয়ে যান!
আমি একমত নই ভাই, ৫ বছরেই চাপ দেওয়া ঠিক না, আগে তাকে খেলাধুলার সাথে শিখতে দিন ইনশাআল্লাহ নিজেরাই আগ্রহ দেখাবে। আমার অভিজ্ঞতায় ৭ বছর থেকে নিয়মিত শেখানোই ভালো।
যাই হোক, সিলেটের কথা শুনে মনে পড়লো ওখানে গত মাসে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচটা কেমন জমজমাট হইছিল, মাশাআল্লাহ কি পারফরম্যান্স!
আমার ছেলেকে ৫ বছর থেকেই আমার সাথে জায়নামাজে দাঁড় করাতাম, এখন ৮ বছরে নিজেই মসজিদে যেতে চায় আলহামদুলিল্লাহ।