এখনকার প্রযুক্তি জগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্রুত পরিবর্তন আনছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২5 অনুযায়ী বলা যায় যে এআই গবেষণা, সফটওয়্যার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দৈনন্দিন অ্যাপ ব্যবহারে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের বাংলাদেশেও এখন অনেক স্টার্টআপ এবং প্রতিষ্ঠান এআই ভিত্তিক সেবা তৈরি করছে, যা মাশাআল্লাহ বেশ ভালো উন্নতি দেখাচ্ছে। এই পোস্টে সহজভাবে এআই এর ভবিষ্যৎ এবং কীভাবে ব্যবহারকারীরা এগুলো কাজে লাগাতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রথমেই বলতে হয়, ভবিষ্যতে এআই আরও স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডেটা বিশ্লেষণ, কাস্টমার সার্ভিস এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনায় এআই ব্যবহারের পরিমাণ বাড়বে ইনশাআল্লাহ। উদাহরণ হিসেবে ব্যাংকিং সেক্টর, যেখানে ঝুঁকি মূল্যায়ন বা জালিয়াতি শনাক্তকরণে আগে থেকেই কিছু অটোমেশন আছে, তা আরও স্মার্ট হবে। বাংলাদেশে bKash, Nagad বা ব্যাংকের অ্যাপগুলোও ভবিষ্যতে আরও বুদ্ধিমান সিকিউরিটি ফিচার যোগ করবে বলে ধারণা করা যায়।
এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
• প্রথমত, নিজের ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেকোনো অ্যাপে পারমিশন দেওয়ার আগে ভালভাবে পড়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
• দ্বিতীয়ত, এআই যে তথ্য দেয় তা পুরোপুরি অন্ধভাবে বিশ্বাস না করে যাচাই করা প্রয়োজন।
• তৃতীয়ত, কাজের দক্ষতা বাড়াতে এআই টুল ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন কনটেন্ট জেনারেশন, ডেটা অ্যানালাইসিস বা স্বয়ংক্রিয় সময় ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার।
আগামী দিনের কর্মক্ষেত্রে এআই একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। তাই যারা এখনই শিখতে শুরু করছেন তাদের জন্য কিছু পদক্ষেপ কাজে লাগতে পারে।
১. বেসিক প্রোগ্রামিং ধারণা শেখা।
২. ডেটা অ্যানালাইসিস বা মেশিন লার্নিং সম্পর্কে ইউটিউব বা অনলাইন কোর্সে শুরু করা।
৩. ছোট ছোট প্রজেক্ট তৈরি করে নিজের স্কিল বাড়ানো।
৪. এআই টুল কীভাবে কাজ করে তা হাতে-কলমে ব্যবহার করে দেখা।
সবশেষে বলা যায়, এআই এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আমাদের দৈনন্দিন জীবন আরও সহজ হয়ে যাবে আলহামদুলিল্লাহ। বাংলাদেশেও প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে তরুণরা এখন অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও নতুন সুযোগ তৈরি হবে এবং যারা এখন থেকে প্রস্তুতি নেবে তারা ভবিষ্যতে বড় সুবিধা পাবে।
Top comments (4)
আমার অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা আর শিক্ষা খাতে এআই খুব দ্রুত কাজে লাগছে, ইনশাআল্লাহ সামনে আরও ভালো সেবা পাওয়া যাবে। আপনি চাইলে স্থানীয় স্টার্টআপগুলোর পণ্যও দেখে নিতে পারেন, বেশ কাজের জিনিস আছে।
আমি গত মাসে ধান ক্ষেতের পোকা চেনার জন্য একটা এআই অ্যাপ ব্যবহার করলাম, সত্যি বলতে অনেক কাজে লাগছে এখন।
মাশাআল্লাহ, অনেক তথ্যবহুল পোস্ট! বাংলাদেশে এআই নিয়ে এত কাজ হচ্ছে জেনে ভালো লাগলো।
আমি একমত নই ভাই, কারণ আপনি যেটা বলছেন সেটা এত সহজে বাংলাদেশের বাস্তবতায় মিলে না, এখনো গ্রামাঞ্চলে এআই ভিত্তিক সেবা ঠিকমতো পৌঁছায়নি। আলহামদুলিল্লাহ উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু এতটাই দ্রুত বলা ঠিক না।