৫ অক্টোবর ২০২৫, ঢাকা শহরে এখন ঘর সাজানো নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে গুলশান এলাকায় যারা কাজের ব্যস্ততার মাঝে একটু শান্তির কোণ খুঁজে নিতে চান। আমিও কিছুদিন আগে আমার নিজের বাসায় একটু সাজসজ্জা পরিবর্তন করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, ছোট ছোট পরিবর্তনও ঘরের পরিবেশকে অনেকটাই উষ্ণ আর আরামদায়ক করে তোলে। আজকে সে অভিজ্ঞতা থেকেই কিছু টিপস শেয়ার করছি, ইনশাআল্লাহ আপনার জন্যও কাজে লাগবে।
প্রথমেই আলো নিয়ে কথা বলি। ঢাকার অ্যাপার্টমেন্টে সাধারণত প্রাকৃতিক আলো কম ঢোকে, তাই নরম আলো ব্যবহার খুব জরুরি। আমি আমার লিভিং রুমে উষ্ণ রঙের ছোট স্ট্যান্ড ল্যাম্প ব্যবহার করেছি। এতে সন্ধ্যাবেলায় ঘরে খুব শান্ত একটা আমেজ তৈরি হয়। চাইলে ফেয়ারি লাইটও লাগাতে পারেন, তবে খুব বেশি ব্যবহার করবেন না যেন চোখে লাগে না। গুলশানে বেশ কয়েকটি হোম ডেকর শপ আছে যেখানে এ ধরনের লাইট সহজেই পাওয়া যায়।
দ্বিতীয়ত, ঘরের ফার্নিচারগুলোকে হালকা শেডে রাখলে ঘর বড় দেখায়। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অফ হোয়াইট বা হালকা ধূসর রঙের সোফা ব্যবহার করলে ঘর অনেকটা পরিপাটি লাগে। তবে বাচ্চা থাকলে বা ব্যবহার বেশি হলে ডার্ক কাভার ব্যবহার করতে পারেন যাতে সহজে পরিষ্কার করা যায়। আর ছোট জায়গায় বড় সাইজের ফার্নিচার রাখলে জায়গা সংকুচিত লাগে, তাই আকারের দিকে খেয়াল রাখুন।
তৃতীয়ত, দেয়ালে কিছু সহজ আর্টওয়ার্ক বা ফ্রেম ঝুলিয়ে দিলে ঘরকে ব্যক্তিত্ব দেয়। আমি আমার ভ্রমণের কয়েকটা ছবি প্রিন্ট করে ফ্রেমে সাজিয়েছি। মাশাআল্লাহ, অতিথিরা এলে সবাই প্রশ্ন করে কোথা থেকে করালাম। আপনি চাইলে বাংলা টাইপোগ্রাফি পোস্টার বা ইসলামী উদ্ধৃতির মিনিমালিস্ট প্রিন্টও লাগাতে পারেন, ঘরে খুব সুন্দর একটা উষ্ণতা তৈরি হবে।
সবশেষে, ঘরে গাছ রাখার অভ্যাস করুন। এখনকার দিনে ইনডোর প্ল্যান্ট অনেক জনপ্রিয়। মানিপ্ল্যান্ট, আরেকা পাম বা স্নেক প্ল্যান্ট খুব সহজে টিকে যায় এবং ঘরের বাতাসও কিছুটা পরিষ্কার রাখে। আমি কফি টেবিলের পাশে একটা ছোট মানিপ্ল্যান্ট রেখেছি, দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। গাছ পানি দেওয়া আর যত্ন নিতে বেশি সময় লাগে না, তাই ব্যস্ত জীবনে সহজেই ম্যানেজ করা যায়।
এসব টিপস খুবই সহজ, আর বাজেটও বেশি লাগে না। একটু সময় নিলে নিজের ঘরটাকে আরেকটু সুন্দর আর শান্তির জায়গা বানানো যায়। আপনি যদি গুলশানের মতো ব্যস্ত এলাকায় থাকেন, তাহলে ঘরের শান্ত পরিবেশ আপনাকে মানসিকভাবে অনেকটা রিল্যাক্স করবে ইনশাআল্লাহ। ঘর সাজাতে গিয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে, বলতে পারেন ভাই, সাহায্য করার চেষ্টা করব। 😊
Top comments (4)
hahaha bhai gulshan er flat er kotha shunlei amar bank balance ta kede othe, ami tokhon mosjid er fan er niche boshe "cozy corner" banai!
ekdom thik bhai, chhoto chhoto change e ghorer vibe onek cozy hoye jay, mashaAllah. amio recently ektu update kore same experience peyechi.
ভাই, গুলশানের ফ্ল্যাটে ছোট জায়গা আর বাজেট ম্যানেজ করে কোন সাজসজ্জার আইডিয়াটা সবচেয়ে কাজে দেয় ইনশাআল্লাহ একটু বুঝিয়ে বলবেন?
ami o last month e amar dhanmondi r flat e similar kichu try korlam, specially indoor plants ar soft lighting diye. alhamdulillah ghor ta ekhon onek cozy feel hoy, tips gulo really helpful bhai.