১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে দেশে রাজনীতির যে পরিবেশ দেখা যাচ্ছে, তা অনেকের মাঝেই নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগ তৈরি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের অবস্থান নিয়ে ঘন ঘন আলোচনা, সভা ও কর্মসূচির কথা বলছে, তবে সেগুলোর সময়সূচি বা নির্দিষ্ট ঘটনা স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে ঢাকা শহরের বাসিন্দারা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করছেন। বনানীতে থাকায় প্রতিদিনই মানুষের কথাবার্তায় রাজনীতি নিয়ে আলোচনা শুনতে পাই। সবাই চাইছে স্থিতিশীলতা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং উন্নয়নমূলক ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক।
ঢাকার রাস্তাঘাটে এখন আগের চেয়ে পুলিশি তৎপরতা কিছুটা বেশি দেখছি। যদিও কোনও বড় ধরনের সংঘর্ষ বা নির্দিষ্ট ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে না, তবুও সাধারণ মানুষ মনে করেন যে রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্ভাবনা মাথায় রেখে নিরাপত্তা জোরদার রাখা হয়েছে। রিকশাওয়ালা মামারা, দোকানদার ভাইরা কিংবা অফিসের সহকর্মীরা, সবাই একই কথা বলেন যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আবার বলেন যে নির্বাচন বা বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি সামনে থাকলে এমন সতর্কতা স্বাভাবিক। আলহামদুলিল্লাহ, বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে না, যা আশার কথা।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রাজনৈতিক আলোচনা বেশ সক্রিয়। Facebook ও YouTube এ নানা বিশ্লেষণ, লাইভ আলোচনা, মন্তব্য ইত্যাদি দেখা যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগই সাধারণ পর্যবেক্ষণ বা মতামত নির্ভর, নির্দিষ্ট কোনও ঘটনার উপর নয়। তরুণরা বিশেষভাবে আগ্রহী দেশের ভবিষ্যৎ, কর্মসংস্থান, অর্থনীতি এবং নীতিনির্ধারণ নিয়ে। গুলশান থেকে মিরপুর, ধানমন্ডি থেকে উত্তরা পর্যন্ত তরুণদের কথায় এখন সবচেয়ে বেশি শোনা যায় যে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ যদি শান্ত থাকে, তবে প্রযুক্তি, স্টার্টআপ ও শিক্ষাখাতে আরও উন্নয়ন সম্ভব। ইনশাআল্লাহ এ দিকটি আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা যায়।
ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় যে রাজনৈতিক দলগুলো এখন অনেকটাই অবস্থান নির্ণয়ের রাজনীতিতে ব্যস্ত। প্রকাশ্যে বড় সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা না থাকলেও ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি চলছে বলে অনেকেই মনে করেন। সাধারণ মানুষ যেমন উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা চায়, তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এখন দায়িত্বশীল আচরণের প্রত্যাশা বেশি। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংলাপ, আলোচনা ও সমঝোতাকে অগ্রাধিকার দেয়, তাহলে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিও আরও স্বাভাবিক থাকবে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল ও সম্ভাবনাময় দেশে রাজনৈতিক শান্তি বজায় থাকাই উন্নয়নের প্রধান শর্ত। মাশাআল্লাহ এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রিত রয়েছে, এবং সবাইই চাইছে যেন এ ধারা বজায় থাকে।
Top comments (5)
আমার অভিজ্ঞতায় রাজনীতির এমন অনিশ্চয়তায় সাধারণ মানুষই সবচেয়ে ভোগে, তাই ভাই নির্ভরযোগ্য সংবাদসূত্র দেখে শান্ত থাকা ভালো ইনশাআল্লাহ। চাইলে নির্বাচন কমিশনের আপডেটগুলোও দেখে নিতে পারেন।
Are bhai ei sob political natok dekhlei matha garam hoy, desher jonno real kaj keu korbe na naki? Ei obosthay kono asha rakha purai faka কথা, astagfirullah!
খুবই সময়োপযোগী পোস্ট ভাই, আমরা প্রবাসীরাও দেশের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত থাকি সবসময়।
Bhai apnar ki mone hoy, ei obosthay shomoy moto election hobe naki aro deri hobe?
আমার মতে সাধারণ মানুষ এখন রাজনীতির চেয়ে নিজেদের জীবনযাত্রার খরচ আর নিরাপত্তা নিয়ে বেশি চিন্তিত, রাজনীতিবিদরা এটা বুঝলে ভালো হতো।