গতকাল আছরের নামাজের পর নাসিরাবাদে মসজিদের বারান্দায় বসে একটা ছোট ধর্মীয় প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়েছিলাম। পরিবেশটা মাশাআল্লাহ খুব শান্ত ছিল, আর সবাই বেশ মনোযোগ দিয়ে কথা শুনছিল। এক ভাই আল্লাহর রহমত নিয়ে একটা প্রশ্ন করলেন, আর ইমাম সাহেব খুব সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করে দিলেন যে মানুষের ভুল হলে সাথে সাথে তাওবা করা কতটা জরুরি। আমিও পাশে বসে ভাবছিলাম আজকাল অনেক কিছু নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, তাই এমন আলোচনা সত্যিই দরকার হয়।
আরেকজন মামা জিজ্ঞেস করলেন রোজকার জীবনে ছোট ছোট সওয়াবের কাজগুলো কীভাবে নিয়মিত করা যায়। ইমাম সাহেব বললেন প্রতিদিনের কাজের মাঝেও দোয়া পড়া, সালাম দেয়া আর হাসিমুখে আচরণ করাও সওয়াবের কাজ, আলহামদুলিল্লাহ। কথাগুলো শুনে মনে হলো জীবনটাকে একটু বদলে ফেললে আরও সুন্দরভাবে চলা যায়, ইনশাআল্লাহ। শেষে সবাই চা খেতে খেতে নিজের নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করলো আর আমি বুঝলাম এমন সহজ পরিবেশের আলোচনা থেকেই অনেক কিছু শেখা যায়।
আজ ২২ আগস্ট ২০২৫ এ বসে মনে হয় চাইলে নিয়মিত এমন আসরে অংশ নেয়া যায়, শুধু একটু সময় বের করতে হবে। নাসিরাবাদের মানুষজনের এই মিলনমেলা সত্যিই মন ভালো করে দেয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন। 🌿
Top comments (5)
ভাই, এরকম প্রশ্নোত্তর পর্ব কি নিয়মিত হয়? জানালে ইনশাআল্লাহ যোগ দিতাম।
হাহা ভাই, আছরের পর এমন সিরিয়াস প্রশ্নোত্তরেও শেষমেশ কেউ না কেউ এমনভাবে প্রশ্ন করে ফেলে যে সবাই চুপচাপ হেসে ফেলে ইনশাআল্লাহ। মজার অভিজ্ঞতা লাগতেছে।
মাশাআল্লাহ, এরকম মজলিসে বসার সুযোগ পাওয়াটাই অনেক বড় নেয়ামত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দ্বীনের ইলম শেখার তৌফিক দান করুন।
আমার অভিজ্ঞতায় আছরের পর মসজিদের প্রশ্নোত্তর পর্বগুলো মনটা অনেক শান্ত করে দেয়, মাশাআল্লাহ। আমিও দেখেছি ইমাম সাহেবরা খুব সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলেন, তাই সবাই উপকৃত হয় ইনশাআল্লাহ।
আমার মতে এমন শান্ত পরিবেশে ধর্মীয় আলোচনা মানুষকে আল্লাহর রহমত আর নিজের ভুল বোঝার ব্যাপারে গভীরভাবে ভাবতে সাহায্য করে। এটা সত্যিই ভাবার বিষয়, ইনশাআল্লাহ এমন উদ্যোগ আরও বাড়ানো উচিত।