খুলনায় গরমের দিনগুলোতে ঘরের কাজ সামলাতে গিয়ে অনেক সময় মনটা অস্থির হয়ে যায়। আমি নিজেও একজন গৃহিণী হিসেবে বুঝি যে ব্যস্ততার ভিড়ে ইসলামী জীবনযাপনকে সুন্দরভাবে ধরে রাখা একটু চ্যালেঞ্জ মনে হতে পারে। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, ছোট ছোট কিছু অভ্যাস ধরতে পারলে জীবন অনেক শান্ত হয়। আজ ১ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু সহজ টিপস শেয়ার করছি, যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই কাজে লাগে।
প্রথমত, ফজরের পর কিছুটা সময় আল্লাহর জিকিরে ব্যয় করলে দিনটা খুব সুন্দর কাটে। আমি ফজরের নামাজের পর দশ মিনিট বসে সূরা ইয়াসিন বা ছোট কিছু দোয়া পড়ার চেষ্টা করি। ইনশাআল্লাহ এতে মানসিক শান্তি বাড়ে এবং দিনের কাজগুলোকেও হালকা মনে হয়। সকালে ঘর গুছানো বা নাস্তা বানানোর আগে এই ছোট বিরতিটা আমাকে আরও শক্তি দেয়।
দ্বিতীয়ত, ঘরের ব্যস্ততার মধ্যেও সময় ব্যবস্থাপনার জন্য আমি মোবাইলে ছোট রিমাইন্ডার সেট করি। যেমন দুপুরের আগে দু রাকাত নফল নামাজ পড়ার জন্য একটি নোটিফিকেশন। প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ইবাদতেও সহায়ক হয়ে ওঠে। অনেক সময় রান্না, বাজার বা বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে করতে নামাজ পড়তে দেরি হয়ে যায়। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা করলে বিষয়টি সহজ থাকে।
তৃতীয়ত, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইসলামি আড্ডার পরিবেশ তৈরি করলে বাড়ির শান্তি বেড়ে যায়। মাঝে মাঝে বিকেলে চায়ের সাথে হালকা আলোচনা করি, যেমন সৎ কাজের গুরুত্ব বা ধৈর্যের ফজিলত। আমার বাচ্চারাও এতে অনেক উৎসাহ পায়। মাশাআল্লাহ পরিবারের ভেতরে এই ধরনের পরিবেশ থাকলে সম্পর্কও আরও মজবুত হয়।
সবশেষে, ইসলামী জীবনযাপনকে কখনই চাপ মনে করবেন না। বরং ধীরে ধীরে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিটি ভালো কাজ আল্লাহর কাছে মূল্যবান। প্রতিদিন যদি একটি ভালো কাজও নিয়মিত করেন, আপনার জীবনে শান্তি ও বরকত আসবেই ইনশাআল্লাহ।
Top comments (5)
ভাই, এসব অভ্যাসগুলো প্রতিদিন ধরে রাখতে কোনো বিশেষ সময়সূচি ফলো করেন নাকি নিজের মতো চললেই হয় ইনশাআল্লাহ? একটু বুঝিয়ে বলবেন?
মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। ছোট ছোট অভ্যাসগুলোই আসলে জীবনে বরকত আনে।
bhai ei daily tips gula follow korle ghorer kajer sathe ibadah balance kora kemon easy hoy, ektu detail e bolben?
হাহা খুলনার গরমে ইবাদত করতে গেলে তো সওয়াবও ডাবল হওয়া উচিত ভাই! 🔥
মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর টিপস দিয়েছেন আপু। ছোট ছোট অভ্যাসগুলো সত্যিই অনেক কাজে আসে।