১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ঢাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে যে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ডায়েট প্ল্যান নিয়ে আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে শহুরে এলাকায় বসবাসকারী তরুণ প্রজন্ম এখন খাবারের ক্যালরি, পুষ্টিগুণ এবং দৈনন্দিন ব্যালান্সড মিল নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত ওজন কমানোর বদলে ধীর গতিতে, নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক খাবারের সমন্বয়ে ডায়েট অনুসরণ করাই সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি। অনেকেই অফিসের ব্যস্ত জীবনের মাঝেও সহজে অনুসরণ করা যায় এমন মিল প্রিপ বা লো-ক্যালরি খাবারের দিকে ঝুঁকছেন।
সম্প্রতি ঢাকার বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি এলাকায় বেশ কিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্র ব্যালান্সড ডায়েট প্রোগ্রাম চালু করেছে, যেখানে খাবারের তালিকা তৈরির পাশাপাশি ব্যক্তিগত পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। সেখানে যাওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিজেদের খাবারে ভাত কমিয়ে সবজি, ডাল এবং মাছের পরিমাণ বাড়িয়েছেন। কেউ কেউ আবার সপ্তাহে অন্তত দুই দিন হালকা খিচুড়ি খাচ্ছেন, যাতে কম তেল ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি যুক্ত রাখলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভালো থাকে, আলহামদুলিল্লাহ।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় অনেকে জানিয়েছেন, ডায়েট প্ল্যান শুরু করা প্রথমদিকে কঠিন মনে হলেও কয়েক সপ্তাহ পর নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়। মিরপুরের এক ব্যাংক কর্মচারী জানান, তিনি প্রতিদিন সকালে হালকা নাশতা হিসেবে ওটস বা দুইটা পরোটা কম তেলে খেয়ে অফিসে যান, আর দুপুরে বাসায় রান্না করা মাছ বা মুরগির ঝোল খেতে চেষ্টা করেন। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, বাইরে ফুচকা বা চটপটি দেখলে মন লোভে জেগে ওঠে, কিন্তু স্বাস্থ্য ভাবলে নিজেকে সামলে নিতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা আরও সতর্ক করে বলেছেন যে ইন্টারনেট বা সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো এলোমেলো ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করলে উল্টো ক্ষতি হতে পারে। তারা পরামর্শ দিয়েছেন, স্বাস্থ্যগত সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্ল্যান করা উচিত। অনেকেই এখন অ্যাপের মাধ্যমে ক্যালরি কাউন্ট করেন, যা বিষয়টিকে আরেকটু সহজ করে দিয়েছে। ইনশাআল্লাহ সঠিকভাবে পরিকল্পনা মেনে চললে সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব।
সবশেষে, বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে ডায়েট মানেই খাবার কমিয়ে ক্ষুধার কষ্টে থাকা নয়। বরং সঠিক খাবার, পর্যাপ্ত পানি, নিয়মিত ঘুম এবং হালকা ব্যায়ামসহ একটি সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলাই মূল উদ্দেশ্য। দেশের স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ার এই ধারা ভবিষ্যতে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। 😊
Top comments (5)
Ami nijer upor try korechi, balanced diet maintain korle sotti difference feel hoy. Alhamdulillah onek bhalo feel korchi ekhon.
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েটই আসল স্বাস্থ্য ধরে রাখার পথ ইনশাআল্লাহ।
Hahaha bhai ei guide ta amar 5 bochhor age lagto, ekhon toh just chakrir tension niye bosi! 😅
ভাই, ব্যালান্সড ডায়েট মানতে গেলে আমাদের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় কোন জিনিসগুলো অবশ্যই রাখা উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কি? আরো একটু বুঝিয়ে বলবেন ইনশাআল্লাহ?
amar mote eta valo trend bhai, kintu calorie count er sathe sathe long term sustainable habit create kora tao khub important. balanced food lifestyle thakle ইনশাআল্লাহ health better thakbe.