২০ মার্চ ২০২৫ তারিখে স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে নতুন করে রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের আগ্রহ, সচেতনতা এবং মাঠপর্যায়ের প্রচারণা নিয়ে ব্যাপক কথা উঠছে। বিশেষ করে ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা দিনদিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, আর সেই প্রভাব সরাসরি ভোটারদের আচরণে দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, নগর ব্যবস্থাপনা, রাস্তার অবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি এবং বিদ্যুৎ সেবার মান তাদের ভোটের সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা রাখছে।
মিরপুরের বাসিন্দারা সবসময়ই নির্বাচনের সময় একটু বেশি উৎসাহী থাকেন। আমি নিজেও মিরপুরে থাকি, তাই এলাকায় প্রচারণার সরব উপস্থিতি খুব কাছ থেকে দেখতে পাচ্ছি। এখানকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থীরা মানুষের দরজায় গিয়ে পরিচিতি তুলে ধরছেন, নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাচ্ছেন এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। অনেক বাসিন্দা আলহামদুলিল্লাহ বলছেন যে এখন মানুষের কাছে নিজের ভোটের মূল্য পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে। তবে কিছু ভোটার এখনও মনে করেন যে পরিষেবা উন্নত হলে আরও বেশি মানুষ ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে ভোট দিতে উৎসাহিত হবেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, আজকাল স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুধু প্রতীকী আনুষ্ঠানিকতা নয়। বরং এর মাধ্যমে নাগরিকরা সরাসরি নিজেদের জীবনের সাথে সম্পর্কিত নানা বাস্তব সমস্যার সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা, ফুটপাত দখল, নিকাশী সমস্যার মতো বিষয়গুলো নিয়ে মানুষ বেশ উদ্বিগ্ন। ফলে এসব ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে Facebook এবং YouTube ব্যবহার করে অনেকেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণও কিছুটা বাড়ছে বলে অনেকে মনে করছেন।
মাঠপর্যায়ে কথা বলতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, অনেক এলাকায় শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, গৃহিণী এমনকি প্রবীণরাও নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মতামত দিচ্ছেন। বাজারে চা খেতে বসলে বা মসজিদের সামনে নামাজের পর দাঁড়ালেই ভাইদের মাঝে এই নিয়ে আলোচনা শুনতে পাওয়া যায়। কেউ উন্নয়নের দাবি তুলছেন, কেউ আবার আগের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। এমনকি বাসার নিচে Pathao ড্রাইভারদের সঙ্গেও কথা বলতে গিয়ে দেখলাম, তারাও এই নির্বাচনের সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে বেশ আশাবাদী মনে করছেন।
সব মিলিয়ে এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরে যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তা রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক সচেতনতার ইতিবাচক প্রতিফলন বলেই মনে হয়। মানুষ আশা করছেন, যেই প্রার্থী নির্বাচিত হোক না কেন, তিনি যেন এলাকার সমস্যা ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। মাশাআল্লাহ, এই ধরণের সচেতনতা ভবিষ্যতে আরও সুসংগঠিত ও স্বচ্ছ নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে অনেকে মনে করছেন।
Top comments (4)
একদম সঠিক বলেছেন ভাই, স্থানীয় নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়লে আসল পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ।
স্থানীয় সরকার শক্তিশালী না হলে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন কখনোই টেকসই হবে না, এটা আমাদের বুঝতে হবে।
ভোটের দিন ছুটি পাওয়াই যথেষ্ট, বাকিটা আল্লাহ ভরসা! 😂
amar o experience e dekhsi mama, local election e onek lok shuru te excited thake but vote er din abar half ei ashe, jodi proper awareness thake tahole participation barbei inshaAllah.