Banglanet

গর্ভাবস্থার যত্নে সচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ মাতৃত্বের গুরুত্ব

২৮ জুন ২০২৫, ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে গুলশানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভাবস্থার প্রথম তিনমাস থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করা মা ও শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে শহুরে জীবনের ব্যস্ততার কারণে অনেক মা সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলে যান, যা ভবিষ্যতে জটিলতার কারণ হতে পারে।

আমাদের এক সহকর্মী, যিনি সম্প্রতি সন্তানসম্ভবা হয়েছেন, জানালেন যে নিয়মিত হাঁটা, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোর মাধ্যমে তিনি সুস্থভাবে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি বললেন, আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো চলছে এবং চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসরণ করায় তিনি বেশ আত্মবিশ্বাসী। তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে জানা যায়, পরিবার ও কর্মস্থলের সহায়তাও একজন গর্ভবতী মায়ের মানসিক স্বস্তির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

চিকিৎসকরা আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার যেমন শাকসবজি, ফল, ডিম, মাছ এবং প্রয়োজনীয় আয়রন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। একই সঙ্গে পরিষ্কার পানি পান, নিয়মিত ব্যায়াম এবং অতিরিক্ত ক্লান্তিকর কাজ থেকে দূরে থাকা জরুরি। অনেক মা শহরের যানজট ও দূষণের কারণে বাইরে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তাই ঘরে হালকা ব্যায়াম করাও উপকারী হতে পারে।

গুলশানের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক নার্সের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক মা তাদের আগে থেকে অনলাইনে তথ্য সংগ্রহ করে আরও সচেতনভাবে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। এতে চিকিৎসকরাও রোগীর অবস্থার উপর দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। তিনি আরও বলেন যে গর্ভাবস্থায় যেকোনো পরিবর্তন হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত, কারণ সময়মতো ব্যবস্থা নিলে বড় ধরনের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে পরিবার, সমাজ এবং কর্মস্থলের সম্মিলিত সচেতনতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ইনশাআল্লাহ সঠিক যত্ন ও সাপোর্ট পেলে অধিকাংশ মা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম দিতে পারেন। গর্ভাবস্থার যত্ন নিয়ে নিয়মিত প্রচার ও সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে সারাদেশে মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

Top comments (0)