রাজনীতির মাঠে আজকাল বিভিন্ন দল তাদের অবস্থান শক্ত করতে নানা ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করছে। যদিও নির্দিষ্ট তারিখ বা ঘটনা নিয়ে পরিষ্কার কোনও তথ্য নেই, তবুও দেশের অভ্যন্তরে যে রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়ছে তা স্পষ্টভাবেই বোঝা যায়। দলগুলো সাধারণত গণসংযোগ, আলোচনা সভা, এবং সাংগঠনিক পুনর্গঠনের মতো কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছে। এসব কার্যক্রমের লক্ষ্য জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নিজেদের পক্ষে অনুকূল করা। আলহামদুলিল্লাহ দেশের মানুষ রাজনৈতিকভাবে সচেতন, তাই তারা এসব কর্মসূচি মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে।
প্রবাসে থেকে আমরাও সবকিছু খুব নিবিড়ভাবে অনুসরণ করি। আমি নিজে বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে আছি। কাজের ফাঁকে যখনই সময় পাই, অনলাইনে দেশের সংবাদ পড়ি। ইনশাআল্লাহ প্রতিদিন সন্ধ্যায় Facebook এবং YouTube এ ঢুকলেই দেখি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জনগণের সঙ্গে কথা বলছেন, কখনও সভা, কখনও কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। বিশেষ করে নির্বাচন ঘনিয়ে এলে দলগুলো সাধারণত মাঠে আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। যদিও আমরা প্রবাসীরা সরাসরি এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারি না, তবুও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের চিন্তা সবসময়ই থাকে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যারা বাস করেন তারা জানেন যে রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহীসহ বড় শহরগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা সমাবেশ সাধারণ ঘটনা। অনেক সময় পরিবহন ব্যবস্থা, অফিসযাত্রা বা দৈনন্দিন জীবন এসব কর্মসূচির কারণে প্রভাবিত হয়। আমার এক আত্মীয় মিরপুরে থাকে, সে বলছিল যে মাঝে মাঝে শহরে রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে যানজট বেড়ে যায়। তবে একই সঙ্গে সে এটাও বলেছে যে এসব রাজনৈতিক কার্যক্রম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ, তাই সেগুলোকে স্বাভাবিকভাবেই দেখতে হয়।
প্রবাসীদের দৃষ্টিতে একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ যে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকুক। স্থিতিশীল পরিবেশ হলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয় এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও ভালো হয়। অনেক প্রবাসী ভাই আশা করেন যে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি যেন শান্তিপূর্ণ হয় এবং সবার স্বার্থ রক্ষা করে। ইনশাআল্লাহ শান্তি বজায় থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে, আর আমরা যারা দূরে আছি তারাও স্বস্তি পাব।
সবশেষে বলা যায়, রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অংশ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা হলো এই কার্যক্রম যেন দেশকে আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করে। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো যদি পরস্পরের প্রতি সহনশীলতা বজায় রেখে গণমানুষের স্বার্থে কর্মসূচি গ্রহণ করে, তাহলে বাংলাদেশ আরও স্থিতিশীল ও উন্নত হবে মাশাআল্লাহ।
Top comments (4)
Ekdom thik bolechhen bhai, probashira desh niye chinta kore eta khub shwabhabik. Amrao same feeling niye achi.
Probashi der remittance er upor desher economy depend kore, tai amader voice o political discussion e thaka uchit bhai.
ভাই, এসব কর্মসূচির ফলে প্রবাসীদের ওপর বাস্তবে কতটা প্রভাব পড়তে পারে বলে আপনি মনে করেন? একটু বিস্তারিত বললে উপকার হতো ইনশাআল্লাহ।
আমিও প্রবাসে থেকে দেখেছি, দেশে যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি বাড়ে তখন পরিবারের জন্য চিন্তা হয়, ইনশাআল্লাহ এবার সবাই শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করবে।